✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ‘বিরোধিতার’ প্রতিবাদে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বিলম্বে ছাত্রদলের হট্টগোল ও ভাইস চ্যান্সেলরকে ‘হেনস্তার’ প্রতিবাদে এবং দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

   
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি হলপাড়া থেকে শুরু করে ভিসি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীকে মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক-দুই, তিন-চার, ডাকসু আমার অধিকার’, ‘ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেবে সাধ্য কার’, ‘টেম্পু না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘ডাকসু চায় না যারা, শিক্ষার্থীদের শত্রু তার’, ‘গণরুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রদল যদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে যায় তাহলে আমরাও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে যাবো। ডাকসু শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়, সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার অন্যতম প্লাটফর্ম। যে ছাত্রসংগঠন ডাকসুর বিরোধিতা করবে আমরা তার বিরোধিতা করবো। আমরা পুনরায় গেস্টরুম-গণরুম চাই না। অবিলম্বে ডাকসু চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমীদ আল মুদ্দাসির বলেন, ‘২০১৯ সালে ডাকসু হওয়াতে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে হলেও গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছিলো। এখন স্বাধীন বাংলাদেশ একদল ডাকসুর বিরোধিতা করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। এখানে ছাত্রলীগের মতো দানবের কবর রচিত রয়েছে, যদি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করে তাহলে তাদেরও কবর রচিত হবে। ছাত্রদলকে বলবো আপনারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে না গিয়ে তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে রাজনীতি করেন। অবিলম্বে ডাকসুর রোডম্যাপ চাই, ডাকসু বাস্তবায়নে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দেক ইবনে আলী মোহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কোনো একক ব্যক্তি নয়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। যারা যারা ভিসিকে হেনস্তা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে।’

সহ-সমন্বয়ক এবি জুবায়ের বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় আমরা আওয়ামী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলাম। ছাত্রদলের ভাইয়েরাও আওয়ামী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। কিন্তু যখনই আমরা বললাম ডাকসু চাই পেছনে দেখি ভাইয়েরা নেই। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে কোনো দানব দেখতে চায় না। অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুস্থ নিরাপদ রাজনীতি চর্চার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘ডাকসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলার মতো কোনো প্লাটফর্ম নেই। কিন্তু শিক্ষক ও কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলার জন্য প্ল্যাটফর্ম আছে। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের চাওয়া-পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাণের দাবি ডাকসুর জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা না করার এবং দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ-হট্টগোল শুরু হয়। এসময় উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

এই সম্পর্কিত আরো