✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
অসম প্রতিযোগিতা বিমা খাতকে আরো সমস্যায় ফেলবে: বিআইএর সভাপতি এনডিএম’র ইফতারে তারেক রহমান - জনগণের সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে ‘এখন শেখার আগ্রহ কম’ কুলাউড়ায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত মধ্যনগরে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১৫ ইঁদুর দৌড়ে বিশ্বাসী নন দীপিকা শ্রমবাজার সিন্ডিকেট - সাবেক অর্থমন্ত্রীর এজেন্সিসহ ১২ টির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ জামালগঞ্জে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত পাকিস্তানে ট্রেনে বন্দুকধারীদের হামলা, ৪৫০ যাত্রী জিম্মি
advertisement
জাতীয়

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পরিবহন সেক্টরের শ্রমিক

২০২৪ সালে দেশে অনিরাপদ কর্মক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে ৯০৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ২১৮ জন। ২০২৩ সালে নিহত 
হয়েছিলেন ১৪৩২ জন এবং আহত হয়েছিলেন ৫০২ জন। গত বছরের তুলনায় শ্রমিক নিহতের সংখ্যা কমেছে ৫২৭ জন অর্থাৎ ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা কমেছে ২৮৪ জন অর্থাৎ ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ওশি (অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট) ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

   
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ওশি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক মাহমুদা সুলতানা স্নিগ্ধার উপস্থাপনয় বিভিন্ন দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরা হয়। ১৫টি দৈনিক সংবাদপত্র এবং ওশি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয় বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ১১৩ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ৭৫ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ৭৯২ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ১৪৩ জন।

২০২৪ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৫২২ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৫২ জন, ১৪৮ জন দিনমজুর নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৭২ জন, নির্মাণ খাতে নিহত ৬২ জন এবং আহত পাঁচ জন, কৃষি খাতে শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ জন ও আহত হয়েছেন ১ জন, মৎস্য খাতে নিহত ২৫ জন ও আহত ১০ জন, পোশাক শিল্পে নিহত ৫ জন ও আহত ২৯ জন, বিভিন্ন সেবা খাতে নিহত ২৪ জন ও আহত ১ জন, জাহাজভাঙ্গা/শিপব্রেকিংয়ে নিহত ১১ জন ও আহত ৬ জন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিহত ৬ জন ও আহত ৩ জন, নিরাপত্তা খাতে নিহত ৫ জন ও আহত ২ জন, গৃহকর্মী নিহত ৫ জন ও আহত ১১ জন, চা শ্রমিকসহ এবং অন্যান্য খাতে ২৮ জন নিহত ও আহত ৩৬ জন।

কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ডে ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন, দেয়াল-ভবন ছাদ ধসে, বন্যপ্রাণির আক্রমণ ও ভূমিধসের কথা বলা হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে বাংলাদেশ ওশি ফাউন্ডেশন যে সুপারিশগুলো তুলে ধরেছে তা হচ্ছে- শ্রম আইন ও বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করা। শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে সেফটি কমিটি গঠন। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা এবং আহত শ্রমিককে ৫ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া। সকল সেক্টরে ‘সেফটি অডিট’ চালু করা। সরকারিভাবে কর্মক্ষেত্রে দুর্যটনা সংক্রান্ত তথ্যের সঠিক ডেটাবেজ তৈরি। সার্বজনীন পেনশন স্কিমে দুর্ঘটনায় নিহত/আহত শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি। শিপব্রেকিং ইয়ার্ড এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালকে আধুনিকায়ন। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ পিপিই ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। স্বাস্থ্যগত ও নিরাপত্তা নীতিমালা সম্পর্কে শিল্প-মালিক ও ব্যবস্থাপকদের অবহিতকরণ এবং পেশাগত ব্যাধি নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু করা। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

এই সম্পর্কিত আরো

অসম প্রতিযোগিতা বিমা খাতকে আরো সমস্যায় ফেলবে: বিআইএর সভাপতি

এনডিএম’র ইফতারে তারেক রহমান জনগণের সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

‘এখন শেখার আগ্রহ কম’

কুলাউড়ায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

মধ্যনগরে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১৫

ইঁদুর দৌড়ে বিশ্বাসী নন দীপিকা

শ্রমবাজার সিন্ডিকেট সাবেক অর্থমন্ত্রীর এজেন্সিসহ ১২ টির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ

জামালগঞ্জে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

পাকিস্তানে ট্রেনে বন্দুকধারীদের হামলা, ৪৫০ যাত্রী জিম্মি