সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা সমমানের সম্মানসূচক সম্বোধন ব্যবহারের প্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এ প্রথা—যা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে বাধ্যতামূলক ছিল—এখন থেকে আর বলবৎ থাকবে না। পূর্বে নারী কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও ‘স্যার’ সম্বোধন প্রযোজ্য ছিল, যা সমালোচনারও জন্ম দেয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ না ডেকে ‘মিস্টার’ বা ‘মিস’ নামে সম্বোধনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদে সরকারপ্রধান ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য প্রোটোকল সংক্রান্ত অতিরিক্ত সুবিধা ও আচার-বিধি নিয়েও আলোচনা হয়। এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন জ্বালানি, সড়ক ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে প্রোটোকল নির্দেশিকা পর্যালোচনা করে সংশোধনী সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান এক মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘স্যার’ ডাকতে হবে না। তিনি প্রস্তাব করেন, ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ না বলে ‘মিস্টার’ বা ‘মিস’ বলা হোক, যা প্রশাসনে সম্মান রক্ষার পাশাপাশি অনাধুনিক কর্তৃত্ববাদী সংস্কৃতিরও অবসান ঘটাবে।