আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পুলিশ ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ হিসেবে দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সিইসি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক ‘এক্সেস কার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে সিইসি এ আহ্বান জানান।
নাসির উদ্দিন বলেন, তিনি সরকারি চাকরি করেছেন। যখন মানুষ সমালোচনা করে বলেন, রাতে ভোট করেছে এবং জালিয়াতি করেছে, তখন তিনি মনে কষ্ট পান।
১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সবাই মিলে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এখন কেন পারব না? আমাদের পারতেই হবে।’ বিতর্কিত নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, প্রশাসনের ভাবমূর্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; পুলিশের ভাবমূর্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই (আগামী নির্বাচন) হচ্ছে সুযোগ।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘যারা এই ইলেকশনের সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাঁদের কাছে করজোড়ে আবেদন জানাব যে আপনারা মানুষের শ্রদ্ধা অর্জনের চেষ্টা করুন। যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটা থেকে আপনারা উঠে আসুন। আমরা প্রমাণ করতে চাই, আমরা পারি, সরকারি কর্মচারীরা পারে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পারে; যদি তারা সত্যিকার অর্থে আন্তরিক হয়।’
আগামী নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের তারিখ তিনি নিজেও জানেন না। ভোটের দুই মাস আগে ভোটের তারিখসহ বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। সে জন্য তিনি ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, যেদিন ভোটাররা একদম নিশ্চিন্তে, নিজ উদ্যোগে, বিনা বাধায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে, সেদিনই বলা যাবে যে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।