যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক কর্তৃক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠি নিয়ে দেশ-বিদেশে জোর আলোচনা চললেও সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
ড. ইউনূসের আসন্ন লন্ডন সফরকালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ রোববার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন: ‘সরকার এখনো এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি। আমরা এমন কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না যা আমরা দেখিনি।’
প্রেস সচিবের এই বক্তব্য চিঠির বিষয়টি ঘিরে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যদি চিঠিটি ইতোমধ্যেই প্রেরিত হয়ে থাকে, তাহলে তা সরকারের কাছে এখনো পৌঁছায়নি কেন—তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
এর আগে ৪ জুন ২০২৫ তারিখে লেখা চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের জন্য ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ সংক্রান্ত ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে এই সাক্ষাতকে সহায়ক হিসেবে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চিঠিতে টিউলিপ লিখেছিলেন, ‘এই সাক্ষাৎ, হয়তো সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেও সহায়ক হতে পারে, যা ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দ্বারা ছড়ানো হয়েছে যে, আমার খালা (শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কাছে তাঁদের জানার কিছু আছে।’
প্রসঙ্গত, শফিকুল আলমের পোস্টটি এক ঘণ্টা আগে দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই তা ফেসবুকে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, সরকারিভাবে চিঠিটি গৃহিত হয় কি না, কিংবা ড. ইউনূস এই আমন্ত্রণে কী প্রতিক্রিয়া জানান।
বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস লন্ডন সফরে যাচ্ছেন আগামীকাল সোমবার (৯ জুন)। এ সফরে তিনি রাজা চার্লস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। এ সফরকেই টিউলিপ সম্ভাব্য আলোচনার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে চাচ্ছেন।
তাঁর চিঠির সমাপ্তিতে টিউলিপ বলেন, ‘আমি জানি আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন, এমন খবর (দুদকের অভিযোগ) যেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ ও আমার দেশের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায়, সেটি নিশ্চিত করা কতটা জরুরি।