সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট - সিলেটে টিকিট ছাড়াই খেলা দেখতে পারবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিবিসির বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ - রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার সুরক্ষা আদেশ জারি - টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওরে গান-বাজনা নিষিদ্ধ রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান এনসিপি থেকে কুলাউড়ায় মনোনয়নের আলোচনায় মুহিবুর রহমান বুলবুল আ.লীগ নাশকতার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে: অ্যাডভোকেট জামান “স্টার অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” পেলেন সিলেটের দুই তরুণ সংবাদ সম্মেলন - বিগত সরকারের সময়ে অপহরণ ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ দিরাইয়ে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
advertisement
জাতীয়

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় স্বস্তিতে সারা দেশের মানুষ: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় সারা দেশের মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। তারা হত্যা ও ডাকাতি করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জনগণের সকল অধিকার খর্ব করেছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তারা ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন দেখলে বুঝতে পারবেন, কত জঘন্য কাজ আওয়ামী লীগ করেছে।’

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্সে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম এ কথা বলেন। এ সময় জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে হবে বলেও জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। এমনকি বাচ্চা পর্যন্ত গুম হয়েছে। আওয়ামীর কার্যক্রম নিষিদ্ধে পুরো দেশের মানুষ স্বস্তি পেয়েছে।’


এক রাতের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসলেও, শেখ হাসিনার পতনের গত ৯ মাসেও কেন আসেনি—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষকে খুন, গুম ও হত্যা করেছে। এখনো তারা ভয়াবহ মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে। এসবের কারণে দেশের জনগণ নিষিদ্ধের দাবি ওঠালে আওয়ামীর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এটি শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবি নয়, প্রায় সকল বড় দলেরও দাবি ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক।’


১৪ দলের শুধু আওয়ামী নিষিদ্ধ হলো কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের কথা বলা হয়েছে, বাকি দলগুলোর তো সহযোগিতা ছিল না। জাতিসংঘের প্রতিবেদন দেখলে বুঝবেন কীভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, আর কারা চালিয়েছে।’

শফিকুল আলম জানান, ‘হত্যার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ অর্থ আত্মসাৎ থেকে শুরু করে ব্যাংক ডাকাতি করেছে। ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা তারা নিয়ে গেছে। ফার্মার্স ব্যাংক থেকে ২-৩ শ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। মানুষ হত্যা করেছে। তারপরও আওয়ামী লীগের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। তারা এখনো পর্যন্ত একের পর এক গুজব ও ভয়াবহ মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’

শেয়ারবাজারে কারসাজি ও লুটপাটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে শেয়ারবাজারে যে ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছে তারা এখনো আইনের আওতায় আসেনি। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখানে যেন ডাকাতির আড্ডাখানা না হয় সে জন্য সরকার চেষ্টা করছে। আমরা দক্ষ লোক দিয়ে শেয়ারবাজারের মিনিংফুল রিফর্ম করতে চাই, যাতে দ্বিগুণ হারে শেয়ারবাজার ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় ‘মিট দ্য রিপোর্টার্সে’—এ সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ—এর সহসভাপতি গাজী আনোয়ার।

এই সম্পর্কিত আরো

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট সিলেটে টিকিট ছাড়াই খেলা দেখতে পারবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

বিবিসির বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

৪ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার

সুরক্ষা আদেশ জারি টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওরে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান

এনসিপি থেকে কুলাউড়ায় মনোনয়নের আলোচনায় মুহিবুর রহমান বুলবুল

আ.লীগ নাশকতার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে: অ্যাডভোকেট জামান

“স্টার অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” পেলেন সিলেটের দুই তরুণ

সংবাদ সম্মেলন বিগত সরকারের সময়ে অপহরণ ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

দিরাইয়ে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ