স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, গত সরকার ভারতের সঙ্গে নতজানু হয়ে কেবল ছবি তুলেছে, কিন্তু তিস্তা নিয়ে কোনো কথা বলেনি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই জোরদার আছি। আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে ভারতকে বাধ্য করব।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) কাউনিয়ার তিস্তা সড়ক সেতু ও ব্রিজের পাশে তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তার চরে বিভিন্ন আবাদি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানে কোল্ড স্টোরেজ নাই, তাই এখানে বেশি করে কোল্ডস্টোরেজ করা হবে। তাহলে কৃষকের ফসল নষ্ট হবে না। এখানে কাউনিয়া থেকে লালমনিরহাট ব্রিজের কাজ আমি থাকতেই শুরু করতে চাই।
এখানে দেখেছি শিক্ষার হার কম, তাই এখানে কয়েকটি লাইব্রেরি স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছি।’
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘তিস্তার পারে যারা বাস করছে, তাদের একেকজনের বাড়ি ৫-৬ বার ভেঙেছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন হাঁটু পানি, আপনারা দেখেন সেখানে হাঁটু পানিতে নাই। সবাই শুধু সান্ত্বনা দিয়েছে, কিন্তু ২০২৫ সালেই এর একটা সমাধান চাই। নদী একটা সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। নদী হবার কথা ছিল আশীর্বাদ, কিন্তু হয়েছে দুঃখ।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে। তিস্তার পানি নিয়ে ভারত যে টালবাহানা করেছে, দরকার হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচারের সম্মুখীন হয়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। তিস্তা নদীর মাটি খনন করে দুপাড়ে দিয়ে জমি রক্ষা করে।
তিস্তার পারে হাসপাতাল নাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেমন নাই। যখন একজন মা বাচ্চা প্রসব করবে তখন তাকে ঘোড়ার গাড়ি করে, কোনোরকম আনা হয়। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ তিস্তার সমাধান চাই।’