✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
জাতীয়

কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেডিকেলে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি আপাতত স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি করা হবে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বরের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।


অধিদপ্তর জানায়, বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের সনদ যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য কোটায় পাস করা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া স্থগিতই থাকবে। তাদের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, ইউনিটগুলোকে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হয়। আগামী সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। গত ১৭ জানুয়ারি সারা দেশে একযোগে মেডিকেলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৯৫ জন। পরীক্ষায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন আছে ২৬৯টি। এর মধ্যে ১৯৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তবে ফল প্রকাশের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীরা কম নম্বর পেয়েও ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, এমন সমালোচনা শুরু হয়। ফলাফল প্রকাশের রাতেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও জানান। পরদিন ২০ জানুয়ারিও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতে বিষয়টি নিয়ে সেদিন বৈঠক করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

পরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়।

নিয়ম অনুযায়ী, কোটায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি সব কাগজ যাচাইবাছাই করা হয়।

এই সম্পর্কিত আরো