✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
জাতীয়

কারামুক্ত সন্দেহভাজনরা নজরদারিতে : ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কয়েকটি সমন্বয় সভা করেছি। বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি, কোনো ধরনের উসকানিমূলক বই যেন মেলায় না আসে। তারা যেন বই যাচাই-বাছাই করে মেলায় পাঠায়।

বইমেলাকে কেন্দ্র করে গত সরকারের আমলে সহিংসতা হয়েছে। পরে এসব ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারা এখন কারামুক্ত। এরকম যারা সন্দেহভাজন আছেন, তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।


শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ‘অমর একুশে বইমেলা’ ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।


প্রতি বছর বইমেলাকে কেন্দ্র করে কিছু লেখক বা প্রকাশনী উসকানিমূলক কিছু বই বের করে। এ বিষয়ে আপনাদের কোনো নজরদারি রয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কয়েকটি সমন্বয় সভা করেছি। বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি, কোনো ধরনের উসকানিমূলক বই যেন মেলায় না আসে। তারা যেন বই যাচাই-বাছাই করে মেলায় পাঠায়।

এ মাসে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের একটি নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনও আছে। এই বিষয়ে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন? জানতে চাইলে সাজ্জাত আলী বলেন, আমরা এ বিষয়ে সব সময় কাজ করছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসছে। আমরা এসব প্রোগ্রাম প্রতিহত করছি। প্রোগ্রাম তো দিতেই পারে কিন্তু সেগুলো আমরা প্রতিদিনই মোকাবেলা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তারা যদি কোনো প্রোগ্রাম করার পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমাদের দৃষ্টিতে কোনো আশঙ্কা দেখি না।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক অবস্থা খুবই নাজুক, মানুষ খুবই কষ্ট করছে। আমার নিজেরও কষ্ট লাগে, কারণ এই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা তো আমি দেখি। যখন দেখি, মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ছোট একটা দাবি নিয়ে বিশজন লোক রাস্তা আটকে দেয়। আমি তাদের বলব, আপনারা ছোট দাবি নিয়ে রাস্তা আটকাবেন না। আপনারা ফুটপাতে অবস্থান করুন।

তিনি আরো বলেন, কিন্তু খুবই দুঃখজনক যেকোনো দাবি উপস্থাপনার মোক্ষম স্থল হয়ে গেছে রাস্তা অবরোধ। উত্তরা থেকে রওনা দিয়ে মতিঝিল যেতে সাত ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে, ভয়ংকর অবস্থা। পট-পরবর্তী অবস্থায় আমরা আমাদের পেশাগত পরিবর্তন করেছি। আমি এবং আমাদের আইজিপি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা বলছি- আমরা কাউকে মারতে চাই না এবং আমরাও মরতে চাই না। আমি কোনো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমি ব্রিটিশ পুলিশের কমিশনার না। রাস্তার মধ্যে আমার লোককে আমি লাঠি দিয়ে পেটাতে চাই না। সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের মধ্যে যখন সমস্যা হচ্ছিল তখন আমি আমার সহকর্মীদের বলেছি যেন কোনো লাঠিচার্জ না করা হয়।

এই সম্পর্কিত আরো