আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে খুরুজের জোড়সহ কোনো ধরনের সমাবেশ বা অনুষ্ঠান আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখা থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জানানো হয়।
সরকারি এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরারি নেজাম)-এর পক্ষ থেকে খুরুজের জোড় সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান কালবেলাকে বলেন, ‘তাবলিগের মুরুব্বিরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি-২০২৬ অনুষ্ঠিতব্য খুরুজের জোড়ে যারা অংশগ্রহণ করতেন—বিশেষ করে যারা আল্লাহর রাস্তায় চিল্লা ও তিন চিল্লার জন্য বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাদেরকে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে জমায়েত না হয়ে নিজ নিজ জেলা ও এলাকা থেকেই বের হওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, পাঁচ দিনের জোড় থেকে যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছেন, তাদেরও আপাতত টঙ্গী মাঠে না এসে নিজ নিজ ওয়াক্ত পূর্ণ করে পরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে কোনো ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।’
তিনি জানান, খুরুজের জোড় উপলক্ষে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে যে প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছিল, তা খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে।
অতীতের কয়েকটি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রায়হান জানান, ‘এর আগে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে টঙ্গী ইজতেমা মাঠকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতিমূলক কাজে নিয়োজিত তাবলিগের সাথিদের ওপর (শুরায়ে নেজাম) হামলায় প্রায় পাঁচ হাজার সাথি আহত হন। একইভাবে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আরেকটি হামলায় চারজন সাথি নিহত হন এবং শতাধিক সাথি আহত হন।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘উভয় ঘটনার ক্ষেত্রেই সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি ছিল। এসব প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে নেক্কারজনক হামলার মাধ্যমে তাবলিগের মেহনতকে দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সাদপন্থীরা।’ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।