শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
শিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে জামায়াত আমির - যুবকদের বেকার ভাতা নয়, তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই সেদিন তারেক রহমানের সঙ্গে মান্নার কী কথা হয়েছিল, জানালেন স্ত্রী তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি - যুক্তরাষ্ট্রের ১০ ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে তাহিরপুর সীমান্তে ২৪টি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার শান্ত-মুশফিক জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেটকে হারাল রাজশাহী: বিপিএল নাজিব রাজাক দুর্নীতির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত আবারও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান শীতের সবজিতে কাঁচাবাজারে স্বস্তি বিয়ে সুন্নত নাকি ফরজ?
advertisement
জাতীয়

শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ায় ‘ম্যাসিভ’ প্রভাব পড়বে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

অর্ধশতাধিক পণ্য ও সেবার উপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের তীব্র সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গাইলেন অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি দাবি করেছেন, শুল্ক-কর আরোপের ফলে মানুষের উপর ‘ন্যূনতম’ প্রভাব পড়বে।

আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব দাবি করেন, নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর শুল্কারোপের ফলে মানুষের উপর তেমন একটা প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করছি তা খুবই মিনিমাম হবে, ম্যাসিভ প্রভাব পড়বে না।’

আইএমএফের পরামর্শে শুল্ক-কর বাড়ানো নিয়ে তোলা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে আইএমএফের ঋণটা মুখ্য না। তারা ক্ষুদ্র অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দেয়— এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আইএমএফ ঋণ দিলে, তাদের সামনে রেখে অন্যরা আসে (বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকসহ অন্যরা)। এটা বিদেশ থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকারী আসতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কারণ তারা বিনিয়োগ করার আগে আইএমএফের প্রতিবেদন দেখে থাকে। ভালো রাজস্ব থাকলে একচেঞ্জ মার্কেট স্থিতিশীল থাকবে। তাতে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে। পরিকল্পনাকারী সকল অর্থনীতিবিদই বোদ্ধা, তারা জানেন কি করছেন।’

সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে দাবি করে শফিকুল আলম বলেন, ‘সেটা না হলে টাকার মান কমে যাবে। এখন ১২৫ টাকায় ডলার কিনছেন, কিন্তু একটা সময় আসবে ১৯০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। এটা এমন জায়গায় চলে গেছে, তা টেকসই না। ৫ মাসে রাজস্ব শর্টফল হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। খরচতো মেটাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ভালো বুঝেন। বর্তমান অর্থনৈতিক টিমটি দেশের ইতিহাস সেরা। তারা সেভাবে পরিকল্পনা করছেন।’

শুল্ক-কর বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি ও মানুষের কষ্ট বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘মোটেও না।’ এমন সিদ্ধান্তে সরকার অজনপ্রিয় হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অজনপ্রিয় হওয়ার কোনো প্রশ্নই দেখছি না। বরং সরকার দেশের অর্থনীতির অবস্থা যাতে ঠিক থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে। আমি মনে করি, বিষয়টির প্রেক্ষাপট ও কেন করা হয়েছে তা মানুষকে বুঝানো সাংবাদিক ও সবার কর্তব্য।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে খরচ কমানোর ক্রমাগত চেষ্টার কথা জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বিদেশ সফর সর্বনিম্ন লোক নিয়ে হচ্ছে, তার মধ্যেও নিরাপত্তা পারপাসে লোকসংখ্যা বেশি। কিন্তু আগে আড়াইশ ৩০০ মানুষে নিয়ে বিশেষ যেতেন (শেখ হাসিনা)। সবখানে অর্থ অপচয় করা হয়েছে। চট্টগ্রামে টানেল করলে, করিডোর পেরিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়িতে তিনি রেস্ট নিতেন, সেখানে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে সেভেন স্টার হোটেল করেছেন। এগুলো কার টাকা? তার আত্মীয়-স্বজনের টাকায় নয়, বাংলাদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায়।’

শ্বেতপত্র পুরোটা সবাইকে পড়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘দেখবেন, কীভাবে জনগণের টাকাগুলো অপচয় করা হয়েছেন এবং লুটপাট করেছেন (শেখ হাসিনা)। তার কিছু নমুনা ব্রিটিশ.. দেখছেন। সেজন্য আমরা সত্যিকার অর্থে চাচ্ছি, বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি এমন একটা পর্যায়ে যাক, যাতে দেশের ইকোনোমি গ্রো করে। ট্যাক্স জিডিপি কমে যাওয়ার মানে হচ্ছে, যে ঋণ আপনি করেছেন, তা শোধ করার সুযোগ নাও হতে পারে। সবকিছু বিবেচনা করেই এটা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের সামনের দিনগুলোতে মানুষের উন্নয়নে এই টাকাগুলো ব্যয় হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, ট্যাক্স বাড়ায় মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়বে, অন্য বিকল্পে যাওয়া যেত। তাই প্রত্যাহার বা কমানোর চিন্তা সরকারের আছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের কথাগুলো শুনছি, এটাই বলতে পারি।’

আওয়ামী লীগের সময় দেশে-বিদেশে অপচয় করা জনগণের টাকা ক্রোক বা স্যাংশন করা বা ওই সম্পদের ওপর ট্যাক্স বসানোর কোনো কাজ হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়গুলো নিয়েই আমরা কাজ করছি। একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কীভাবে ওই টাকাগুলো আনা যায়, এটা আমাদের টপ প্রায়োরোটি। এই চুরিটা কোথা থেকে হয়েছে, সেটা ট্রেস করা হচ্ছে। আমরা দেখছি, কোথায় কোথায় কীভাবে টাকাগুলো গেছে, কোন অফশোর একাউন্টে গেছে, চুরি করে কোথায় নিয়ে গেছে...। সরকারের জায়গা থেকে অনেক বেশি সতর্কতার সঙ্গে এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে। যা যা করা দরকার, সবই করা হচ্ছে।’

দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন, বাংলাদেশ ব্যাংক, মানিলন্ডারিং বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের শক্তিশালী করা দাবি করে শফিকুল আলম বলেন, ‘টাকাগুলো যেসব দেশে জলে গেছে, তাদের সঙ্গে আমরা কনটাক্ট করছি। তাদের আমরা জানাচ্ছি, টাকাটা তোমার ওখানে চলে গেছে, তুমি আমাদের সঙ্গে কোঅপারেট করো। আমরা সবার কাছ থেকে সাপোর্ট পাচ্ছি। আমরা কোনো দেশের কথা বলব না।’

এই সম্পর্কিত আরো

শিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে জামায়াত আমির যুবকদের বেকার ভাতা নয়, তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই

সেদিন তারেক রহমানের সঙ্গে মান্নার কী কথা হয়েছিল, জানালেন স্ত্রী

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের ১০ ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ

গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

তাহিরপুর সীমান্তে ২৪টি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার

শান্ত-মুশফিক জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেটকে হারাল রাজশাহী: বিপিএল

নাজিব রাজাক দুর্নীতির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত

আবারও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান

শীতের সবজিতে কাঁচাবাজারে স্বস্তি

বিয়ে সুন্নত নাকি ফরজ?