সখের বসে সবজি বাগান তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন ব্রিটেনের নর্থাম্পটনের ইস্ট হান্সবাড়ীর বাসিন্দা সাংবাদিক এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম।
নানা জাতের সবজিতে তার বাগানটি আজ পরিপূর্ণ। দেশীয় সবজির চাহিদা পুরণ করতেই তার এই উদ্যোগ। দুই যুগের বেশী সময় ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত রয়েছেন এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম। দেশে যেভাবে সংবাদপত্রের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন ঠিক তেমনই বিলেতে তিনি খবরের সন্ধানে মগ্ন থাকেন কাজের ফাঁকে। কিন্তু অবসরে অন্যএক শামীম হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি। সখের বসে সবজি বাগান তৈরি করে তিনি পেয়েছেন সফলতা।
তার তৈরী করা বাগানে লাউ, কুমরা, সীম, টমেটো, ডাটা, শষা, বেগুন,রেড পেপার ,গ্রিন পেপার,কাচা মরিচ, নাগা মরিচ,লেবু ,শাক ইত্যাদির বাহার দেখলে মনেই হবে না আপনি বিলেতে আছেন। মনে হবে এক টুকরো বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রচেষ্ঠায় নর্থাম্পটনের ইস্ট হান্সবাড়িতে শামীম গড়ে তুলেছেন নানা জাতের সবজির বাগান। প্রাণের তাগিদেই তিনি শুরু করেন বাগান প্রতিষ্ঠার কাজ। একে একে নানা জাতের সবজিতে তার বাগানটি আজ পরিপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীমের সাবলীল ভাষ্য- ‘ব্রিটেনের মতো জায়গায় লাউ চাষ করা আলাদাই আনন্দ। আমার গাছে এ বছর ৩৫ টি লাউ ধরেছে। শুধু লাউ নয়, নানা ধরনের শাক সবজিতে ভরপুর আমার বাগান।এসব শাক সবজি আত্মাীয় স্বজন ও বন্ধু বান্দবরে দিয়ে আনন্দ পান তিনি।
বিগত ১৩ বছর ধরে নিয়মিত বাগান করছেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য, ও চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম। তার অবসর কাটে বাগান পরিচর্যা করে।
শামীমের বাগান নানা ধরনের শাক শবজিতে ভরপুর। শামীম তার নর্থাম্পটনের ইস্ট হান্সবাড়ির ঘরের পিছনের গাড্রেনে এই বাগান প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশীয় সবজির চাহিদা পুরণ করতেই তার এই উদ্যোগ।
শুধু শামীমই নন, গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদশীরা সবজি বাগানের প্রতি ঝুকছেন। বলা যায়, ব্রিটেনের বাঙালিদের কাছে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে শবজি চাষ।