প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বাংলাদেশের পর্যটন ও হস্পিটালিটি সেক্টরের অনেকদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশী বংশদূত জহিরুল ইসলাম (ডাল্টন জহির) ।তিনি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ইকোট্যুরিজম সোসাইটি পর্তুগালের সভাপতি ও ইউরোপের প্রধান (২০২৫-২০২৮) নির্বাচিত হয়েছেন।
ভিলমা ডি. সি. মেন্ডোজা, মার্ট এভার্সের সিইও, দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইকোট্যুরিজম সোসাইটি ফিলিপাইনস ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা এক সাক্ষরিত চিঠিতে ডাল্টন জহিরকে আন্তর্জাতিক কমিটির এই পদে নিযুক্ত করেন। মিস ভিলমা মনে করেন যে ডাল্টন আন্তর্জাতিক ইকোট্যুরিজম সমাজের জন্য ব্র্যান্ডিং এবং আগামী ৩ বছর ধরে আরও উন্নয়নের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
ডাল্টন জহির ইউরোপিয়ান আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশকে পরিচিত করার জন্য “ওয়েলকাম বাংলাদেশ”ব্র্যান্ডিং করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও জহির ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির (২০২৩-২০২৫ মেয়াদে) কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
প্রসঙ্গত, ডাল্টন জহির প্রতিষ্ঠাতা সিইও- ট্রাভেলার কি, ইউরোপ কি, ট্রাভেলার টাইমস, ওয়ার্ল্ড ভ্যাকেশন ক্লাব, ওয়েলকাম বাংলাদেশ।
তিনি বাংলাদেশ পর্যটন সেক্টরে ২৩ বছর ধরে কাজ করছেন। পর্যটন সেক্টরে কর্মময় জীবনে তিনি ব্র্যাক (বিএসএল) এর বিক্রয় ও বিপণন প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি, রোজ ভিউ হোটেল, গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এবং গল্ফ সিলেট, ওশান প্যারাডাইজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট কক্সবাজার, লেকশোর হোটেল গুলশান, মটোরোলা মোবাইল, অ্যাপল কম্পিউটার, ফিলিপস মোবাইল এবং বাংলাদেশের জন্য ফুজিফিল্ম ডিজিটাল ক্যামেরা (সিঙ্গাপুরে জেল কর্প কর্পোরেশন) এর গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ পর্যটন সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব পর্যটন সংস্থা UNWTO কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছেন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার লুধুয়া গ্রামের কৃতি সন্তান ডাল্টন জহির শিক্ষা জীবনে পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তার হাতেখড়ি হয়। এরপর তিনি জাতীয় পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতাকালে তিনি বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সংগঠনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতায়ও তিনি বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
এফবিসিসিআইয়ের সদস্য ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির এই সদস্য হস্পিটালিটি, পর্যটন, জনসংযোগ, গণমাধ্যম, ব্র্যান্ডিং, বিক্রয়, বিপণন ও পরিচালনায় কাজ করে চলেছেন।
এছাড়াও বিশ্ব ভ্রমণ, পর্যটন এবং হস্পিটালিটি সম্পর্কে আগ্রহী ডালটন জহির বাংলাদেশের ঐতিহাসিক আকর্ষণীয় স্থান,ইতিহাস-ঐতিহ্য, বর্ণীল সংস্কৃতি এবং বৈচিত্রময় খাবার ও রান্না কেন্দ্র করে দেশীয় পর্যটনের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার জন্য নিরলস কাজ করছেন।
এছাড়া তার লেখা একাধিক বই রয়েছে ,তিনি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অফ আমেরিকার সদস্যপদ অর্জন করেছেন। ট্যুরিজম ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার্স ক্লাব লিমিটেড। ইউরোপীয় আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স অফ ইন্ডাস্ট্রি, প্যাসিফিক এশিয়া ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশন, নিউ ইয়র্ক চ্যাপ্টার ইউএসএ, এসকেএএল মাদ্রিদ স্পেনের সদস্য। তিনি পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা।
ভ্রমণ পিয়াসী ডাল্টন জহির যুক্তরাজ্য, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপাল, মায়ানমার, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ,সুইজারল্যান্ড, সহ দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমন করেছেন।
তিনি ভারতের সর্ববৃহৎ ইভেন্ট ট্র্যাভেল ট্যুরিজম ফেয়ার, আইটিবি বার্লিন (জার্মানির বৃহত্তম ভ্রমণ মেলা), ডব্লিউটিএম লন্ডন ( বিশ্ব পর্যটন মেলা,যুক্তরাজ্য) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্সের ফটো প্রতিযোগিতার মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।
বিশ্বব্যাপী ট্যুরিজম কমিউনিটি অব গ্লোবাল এক্সপোজার উইথ নেশন ইন ট্যুরিজম এক্সপার্ট হিসাবে দেশে ব্যাপক পরিচিতি ডাল্টন জহির একজন জনপ্রিয় ভ্রমন লেখক হিসেবেও দারুন জনপ্রিয়। ব্যক্তি জীবনে তিনি সেনাবাহিনীর রিটায়ার অফিসার মোহাম্মদ তাবদিল হোসেন এবং জাহানারা বেগমের পুত্র। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে স্ত্রী উম্মে সালমা সুরভি, কন্যা মাটি বিনতে জহির, পুত্র মানাফ বিন জহির।