সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আইন-আদালত

ট্রাইব্যুনালকে চিফ প্রসিকিউটর

গুমের নির্দেশ দিতেন হাসিনা, বাস্তবায়ন করতেন মেজর তারিক

আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম দাবি করেছেন, গুমের নির্দেশ সরাসরি দিতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতেন তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে সংঘটিত গুম ও নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার অভিযোগ গঠন শুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এদিন দুপুর ১২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের প্যানেল শুনানি শুরু করে। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ মামলায় ইতোমধ্যেই ৩ সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন—ডিজিএফআই’র সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী। সকালে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআই’র সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ এবং লে. কর্নেল (অব) মখসুরুল হক।

গত ২৩ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করা হয়। পলাতকদের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করেছেন। স্বেচ্ছায় লড়তে চাইলে শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তিন ডিসেম্বর তিনি দায়িত্ব প্রত্যাহার করলে মো. আমির হোসেনকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ৮ অক্টোবর প্রসিকিউশন ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে এবং আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ট্রাইব্যুনাল পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য সাতদিনের মধ্যে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরো