মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
ইসলাম

ঈদে মিলাদুন্নবীতে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য ‘জশনে জুলুস’

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত হয়েছে বর্ণাঢ্য ‘জশনে জুলুস’। ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমন ও বিদায়ের দিন স্মরণে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া।

ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম দিক থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা ঘুরে আবার পশ্চিম গেইট হয়ে উদ্যানে ফিরে আসে এবং শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।

শোভাযাত্রার সামনের অংশে লেখা ছিল- ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা’। অংশগ্রহণকারীরা সাদা টিশার্ট ও ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় কালেমাখচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন বহন করেন। পাশাপাশি বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়েও মিছিলে অংশ নেন অনেকে। শোভাযাত্রা জুড়ে ধ্বনিত হয়- ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘নারায়ে রিসালত, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)’। কারও কারও হাতে গাজার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।

শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, মহানবী (সা.) মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেই ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ আজ পৃথিবীজুড়ে চলছে যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে এ শিক্ষার প্রতিফলন ঘটলেই সমাজে ভ্রাতৃত্ব, শান্তি ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়বে।

হিজরি সাল অনুযায়ী, ১২ রবিউল আউয়াল দিনেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ ও ইন্তেকাল করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিমরা এ দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকেন। 

দিনটি উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর, পরিচ্ছন্নতা, টেলিযোগাযোগ, ডাক ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।

এ ছাড়া ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। পৃথক বাণীতে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণ ও শান্তি কামনা করেছেন। 

এই সম্পর্কিত আরো