সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ইসরায়েলের ১৬ পাইলট’

জুন মাসে ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে পাঁচ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল ইরান। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের তেল শোধনাগার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও অন্যান্য অবকাঠামোতে আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং একটি হামলায় অন্তত ১৬ জন ইসরায়েলি পাইলট নিহত হয় বলে দাবি করেছেন তেহরানের একজন জ্যেষ্ঠ জেনারেল।

সোমবার ইরানের কওম শহরে ‘পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনীর শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম সাফাভি বলেন, জুনের আগ্রাসী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয় এবং কৌশলগতভাবে পরাজিত হয়।


তিনি জানান, টিকে থাকতে না পেরে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করতে বাধ্য হয়। এটি প্রতিরোধ অক্ষের শক্তি এবং ইসরায়েলের দুর্বলতার প্রমাণ।

জেনারেল রাহিম সাফাভি উল্লেখ করেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাইফা ও দখলীকৃত অঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়, বিশেষ করে ইসরায়েলের শোধনাগার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গবেষণা স্থাপনায়।

তিনি জানান, ইসরায়েলের এক পাইলট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে অন্তত ১৬ জন পাইলট নিহত হয়। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ১২ দিনের যুদ্ধের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ প্রকাশে বাধা দিয়েছে।

দখলীকৃত অঞ্চলের প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত এতটাই শক্তিশালী ছিল যে সেগুলো ‘ভূমিকম্পের মতো’ আচরণ করেছিল, যা তিন কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা ধ্বংস করে দেয়।

ইরানের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সেরা প্রতিরক্ষা হলো আক্রমণ। আমরা যদি শান্তি চাই, তবে আমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। একটি শক্তিশালী জাতি শত্রুকে নিরস্ত করতে হবে।

এই সম্পর্কিত আরো