না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ক্রিকেট আম্পায়ারিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হ্যারল্ড ডিকি বার্ড। ৯২ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এই আম্পায়ার। আজ এক বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব ইয়র্কশায়ার।
তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালসহ ৬৬ টেস্ট ও ৬৯ ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং করেছেন ডিকি বার্ড। ১৯৩২ সালে বার্নস্লেতে জন্ম সাবেক এই আম্পায়ারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। যদিও তা বেশি দীর্ঘ করতে পারেননি। ৮ বছরের মধ্যেই বিদায় জানান খেলোয়াড়ি জীবনকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯৩ ম্যাচ খেলে ২০.৭১ গড়ে করেছেন ৩৩১৪ রান।
খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে নাম লেখালেও ডিকি বার্ড পাননি সফলতার দেখা। দিনশেষে আম্পায়ারিং বদলে দিয়েছে তাঁর জীবন। খেলোয়াড় থেকে শুরু সমর্থকদের কাছে পর্যন্ত সমাদৃত ছিলেন তিনি।
১৯৭০ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন ডিকি বার্ড। নিজের সময়জ্ঞান, নির্ভুলতা রসবোধ ও সরলতায় দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ১৯৯৬ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ড-ভারত টেস্টে শেষবারের মতো দেখা যায় সাদা টুপির ডিকি বার্ডকে। গার্ড অব অনার পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন এই আম্পায়ার।
ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে ‘এমবিই’ ও ২০১২ সালে ‘ওবিই’ সম্মান পান ডিকি বার্ড। রাজপ্রাসাদে তিনি ছিলেন নিয়মিত অতিথি। অবসরের পরও টকশো, কুইজ শোগুলোতে নির্মোহ বিনোদন দিতেন তিনি। সভাপতি হয়েছেন ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেটেরও। যোগ্য জীবনসঙ্গী খুঁজে না পাওয়া নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ আছে তাঁর। তবে প্রায়শই বলে থাকতেন, ‘আমি খেলাকেই বিয়ে করেছি।’
মর্ত্যলোকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলেও ক্রিকেটে ডিকি বার্ড থাকবেন অমর হয়ে।