শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের যেকোনো অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে: রাশিয়া

ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের প্রশংসা করেছে ভারত।  সেইসঙ্গে সতর্ক করে বলেছে, এই সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার যেকোনো চেষ্টা ‘ব্যর্থ’ হবে। 

এছাড়া ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারকেও স্বাগত জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  খবর এনডিটিভির। 

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরটি-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সত্যি বলতে, অন্য কিছু কল্পনা করাই কঠিন। রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক স্থিরভাবে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া অনিবার্য।’

মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কেবল ‘দীর্ঘদিনের রাশিয়া-ভারত বন্ধুত্বের চেতনা ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন’ নয়, বরং আন্তর্জাতিক বিষয়ে তাদের ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন’-এর প্রতিফলন। 

রাশিয়া-ভারতের অংশীদারিত্বকে তারা ‘নির্ভরযোগ্য, পূর্বানুমানযোগ্য ও কৌশলগত’ বলে উল্লেখ করেছে, যা ‘সার্বভৌমত্বের সর্বোচ্চ মূল্যবোধ এবং জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার’-এর ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ভারত বেসামরিক ও সামরিক উৎপাদন, মানববাহী মহাকাশ মিশন, পারমাণবিক শক্তি, এবং রাশিয়ায় তেল অনুসন্ধান প্রকল্পে ভারতের বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে।

তারা আরও উল্লেখ করেছে, দুই দেশ জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার বাড়ানো, বিকল্প অর্থপ্রদান পদ্ধতি চালু করা, এবং নতুন পরিবহন ও লজিস্টিক রুট তৈরিতে সহযোগিতা করছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন সময়ে এ মন্তব্য করল যখন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এমন ভারতসহ অন্যান্য দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করতে জি–৭ দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে। 

ট্রাম্পের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক গত ২৭ আগস্ট থেকে ভারতের আমদানিপণ্যে কার্যকর হয়েছে, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। এই অতিরিক্ত জরিমানা দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ককে তিক্ত করেছে—যা স্বীকারও করেছেন ট্রাম্প নিজেই।

এ পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসের শুরুতে চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা

(এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন—যা দুই দেশের ঐক্য প্রদর্শন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) পুতিনের সঙ্গে করমর্দন ও আলিঙ্গনের ছবি শেয়ারও করেছেন।

এই সম্পর্কিত আরো