নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশটিতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে এবং দেশটিতে অবস্থানরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়ে জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের দূতাবাস।
এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে, নেপালে বর্তমানে বসবাসকারী বা আটকে পড়া সব বাংলাদেশি নাগরিককে বাইরে না যাওয়ার ও নিজ নিজ স্থান বা হোটেলে অবস্থান করার জন্য কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হলো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সে সঙ্গে উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণ-ইচ্ছুক সব বাংলাদেশি নাগরিককে আপাতত নেপাল ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
ফিরে এসেছে বিমানের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট, নেপালে আটকা ফুটবলাররাফিরে এসেছে বিমানের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট, নেপালে আটকা ফুটবলাররা
দূতাবাসের পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তার জন্য সাদেক (+৯৭৭ ৯৮০৩৮৭২৭৫৯) ও সারদা (+৯৭৭ ৯৮৫১১২৮৩৮১) এই দুটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
হেলিকপ্টারে করে নেপালের মন্ত্রীদের সরিয়ে নিচ্ছে সেনাবাহিনীহেলিকপ্টারে করে নেপালের মন্ত্রীদের সরিয়ে নিচ্ছে সেনাবাহিনী
প্রসঙ্গত, নেপালে সরকারের দুর্নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার তরুণদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। ভাইসেপতিতে মন্ত্রীদের বাসভবনেও তাঁরা আগুন ধরিয়ে দেন। ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।
‘জেন-জি আন্দোলন’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল—প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগ। অবশেষে পদত্যাগ করেছেন তিনি।