প্রথম স্বামীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালাক দেওয়ার এক বছরের মাথায় এবার মার্কিন র্যাপার ফ্রেঞ্চ মন্টানার (আসল নাম করিম খারবুচ) সঙ্গে বাগদান সেরেছেন দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখা মাহরা বিনতে মোহাম্মদ রাশেদ আল মাকতুম। গতকাল বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম টিএমজেড-কে মন্টানার প্রতিনিধি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত জুনে প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহে ‘৩. প্যারাডাইস’ ব্র্যান্ডের র্যাম্পে হাঁটার সময় মন্টানা মাহরাকে আংটি পরিয়ে দেন।
৩১ বছর বয়সী শেখা মাহরা হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাই শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের কন্যা। তাঁর মা গ্রিক সমাজকর্মী জোয়ে গ্রিগোরাকোস। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল ক্রিস্টিনা। পরে আরব আমিরাতে আসার পর তিনি ইসলামি নাম মাহরা গ্রহণ করেন। রাজপরিবারের জনপ্রিয় সদস্যদের মধ্যে তিনি অন্যতম। সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় উপস্থিতি ছাড়াও মানবিক উদ্যোগ, ফ্যাশন ও ঘোড়দৌড় নিয়ে তাঁর প্রবল আগ্রহ দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, লন্ডন থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়ার পর মাহরা ব্যবসায় নামেন। তিনি ২০২৪ সালে নিজের পারফিউম ব্র্যান্ড ‘মাহরা এম১’ চালু করেন। এর প্রথম সুগন্ধি ‘ডিভোর্স’ ব্যাপক আলোচনায় আসে। কারণ ওই সময়ই তাঁর দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার খবর আসে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে তিনি আমিরাতের ব্যবসায়ী শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রাশেদ বিন মানা আল মাকতুমকে বিয়ে করেছিলেন। পরের বছর মে মাসে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তবে কন্যার জন্মের মাত্র দুই মাস পরই সামাজিক মাধ্যমে তিনি প্রকাশ্যে স্বামীকে তালাক দেন। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি পোস্টে মাহরা লিখেছিলেন—‘প্রিয় স্বামী, যেহেতু আপনি অন্য সঙ্গীদের নিয়ে ব্যস্ত, তাই আমি তালাক ঘোষণা করছি। আমি তালাক দিলাম, তালাক দিলাম, তালাক দিলাম। ভালো থাকুন, আপনার সাবেক স্ত্রী।’
ইসলামি শরিয়তে নারীরা সাধারণত খুলা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালাক নিতে পারেন। আর পুরুষেরা সরাসরি তালাক উচ্চারণ করেন। ‘তিন তালাক’ পদ্ধতি অনেক মুসলিম দেশে নিষিদ্ধ। ফলে মাহরার এই প্রকাশ্য ঘোষণায় তা নতুন করে আলোচনায় আসে।
২০২৪ সালের শেষ দিক থেকেই ফ্রেঞ্চ মন্টানা ও শেখা মাহরাকে একসঙ্গে দেখা যেত। প্যারিস ফ্যাশন উইকে দুজনকে হাতে হাত রেখে হাঁটতে দেখা যায় এবং আলোচিত ‘পন্ত ডেস আর্টস’ সেতুতে তাঁরা একসঙ্গে একটি ‘লাভ লক’ ঝুলিয়ে দেন বলেও একাধিক গণমাধ্যমে খবর আসে।