রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
জুলাই যোদ্ধাদের স্বৈরাচারের দোসর বলাটা গুরুতর অসৌজন্যতা: জামায়াত আমির বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, স্পষ্ট করলেন মির্জা ফখরুল শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড - সিলেটে আটকে পড়া বিমান যাত্রীদের জন্য ট্রেনের বিশেষ বগি মরণফাঁদ মৌলা ব্রিজে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের, মৃত্যুশয্যায় ছোট ভাই শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল রিয়া মনিকে তালাক, ৫০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল করলেন হিরো আলম যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা রিশাদের ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমরা সকল ক্ষেত্রে বিজয় অর্জন করতে চাই দেশবিরোধী চক্র নির্বাচন বানচাল করতে চায়: ফয়সল চৌধুরী
advertisement
আন্তর্জাতিক

রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ

১১ আগস্ট সকালে দিল্লির রাজনৈতিক আবহাওয়া যেন হঠাৎই উথাল-পাথাল। সংসদ ভবনের মকর দ্বার থেকে শুরু হয় ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের ঐক্যবদ্ধ মিছিল, গন্তব্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর। উদ্দেশ্য—বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হওয়া, যা বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী বিহারসহ কয়েকটি রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রথম সারিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সঞ্জয় রাউত, শশী থারুর—আরও ৩০-এর বেশি সাংসদ। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই দিল্লি পুলিশ সংসদ ভবনের কাছেই ব্যারিকেড তুলে মিছিল থামানোর চেষ্টা করে। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, সহকর্মীরা তাকে সামলে নেন। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যান—সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

কিন্তু পুলিশি বাধা সেখানেই থেমে থাকেনি। রাহুল, প্রিয়াঙ্কাসহ ৩০-এর বেশি সাংসদকে গ্রেফতার করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর ছড়াতেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া। দুপুর নাগাদ অবশ্য সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সংসদে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী। গলায় ক্ষোভ ও চ্যালেঞ্জের সুর—ভারতের গণতন্ত্রের অবস্থা দেখুন—৩০০ সাংসদ নির্বাচন কমিশনে নথি জমা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ভয় পেয়ে আমাদের আটক করা হয়েছে। এটা আর রাজনৈতিক লড়াই নয়, এটা সংবিধানের লড়াই।

তিনি ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট’-এর মৌলিক নীতি তুলে ধরে বলেন, “সত্য বলার জন্য শপথপত্র লাগে না”—ইঙ্গিত স্পষ্ট, নির্বাচন কমিশনের দাবিকৃত শপথপত্রে সই করবেন না।

কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা অশোক গেহলটও শপথপত্র প্রসঙ্গে এটিকে “অযৌক্তিক” বলে আখ্যা দেন। অন্যদিকে, অখিলেশ যাদবের কণ্ঠে ছিল সরাসরি অভিযোগ—ভোটার তালিকার এই কারচুপি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

মহুয়া মৈত্র স্পষ্ট বার্তা দেন, “বিরোধী কণ্ঠ রোধ করতে এই আটক—কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাব না।

ইন্ডিয়া জোটের দাবি, SIR প্রক্রিয়ার আড়ালে নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সরাসরি হুমকি। যদিও নির্বাচন কমিশন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে, বিরোধীরা জানিয়ে দিয়েছে—সংসদ হোক বা রাজপথ, লড়াই থামবে না।

১১ আগস্টের এই নাটকীয় দিন শেষ হলেও এর রাজনৈতিক অভিঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে চলেছে। আটক, মুক্তি এবং সংসদে ফিরে আগুনঝরা বক্তৃতা—সব মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিবাদ কার্যক্রম নতুন মাত্রা পেয়েছে। আর রাহুল গান্ধীর এই অবস্থান যে বিরোধী শিবিরকে আরও উজ্জীবিত করবে, তা বলাই বাহুল্য।

এই সম্পর্কিত আরো

জুলাই যোদ্ধাদের স্বৈরাচারের দোসর বলাটা গুরুতর অসৌজন্যতা: জামায়াত আমির

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, স্পষ্ট করলেন মির্জা ফখরুল

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড সিলেটে আটকে পড়া বিমান যাত্রীদের জন্য ট্রেনের বিশেষ বগি

মরণফাঁদ মৌলা ব্রিজে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের, মৃত্যুশয্যায় ছোট ভাই

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

রিয়া মনিকে তালাক, ৫০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল করলেন হিরো আলম

যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা

রিশাদের ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

আমরা সকল ক্ষেত্রে বিজয় অর্জন করতে চাই

দেশবিরোধী চক্র নির্বাচন বানচাল করতে চায়: ফয়সল চৌধুরী