সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার কয়েক সপ্তাহ পরই ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশ আরব সাগরে পৃথক নৌ মহড়া শুরু করেছে। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ সোমবার থেকে এই মহড়া শুরু হয়েছে।
প্রতিরক্ষা সূত্র নিশ্চিত করেছে, উভয় দেশের নৌবাহিনীই নিজ নিজ জলসীমায় বিমান চলাচল সীমিত করতে ‘নোটিস টু এয়ারম্যান’ বা নোটাম (NOTAM) জারি করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে জানায়, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আজ থেকে আগামীকাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১১ ও ১২ আগস্ট আরব সাগরে মহড়া চালাবে। একই সময়ে পাকিস্তান নৌবাহিনীও তাদের জলসীমায় মহড়ার জন্য নোটাম জারি করেছে।
এই মহড়া এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন মে মাসে (৭ থেকে ১০ মে) দুই দেশের মধ্যে চরম সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তখন ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি অভিযানের মাধ্যমে ভারত, পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে সমন্বিত বিমান, স্থল ও নৌ হামলা চালিয়েছিল।
ভারতের দিবা—তারা এই অভিযানে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রাডার ব্যবস্থা ও আকাশ থেকে নজরদারির প্ল্যাটফর্ম ধ্বংস করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) পাকিস্তানের সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করে। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ সমাবেশ করলে পাকিস্তানের জাহাজগুলো গোয়াদর বন্দরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ওই অভিযানে একটি ভারতীয় এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের একটি সাব এইডব্লিউ অ্যান্ড সি বিমানকে ভূপাতিত করেছিল। সর্বশেষ আঘাত ছিল ১০ মে ভোলাবি এয়ারবেসে একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, চার দিনের সংঘাতে তারা ভারতের তিনটি অত্যাধুনিক রাফালসহ ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। তবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত না করলেও বিদেশি সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই সংঘাতে অন্তত একটি রাফালসহ ভারতের পাঁচটি বিমান ধ্বংস হয়েছে। ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তারা সংখ্যা নিশ্চিত করতে না চাইলেও কিছু বিমান হারানোর কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি তাঁরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এই ক্ষতির কারণ প্রযুক্তিগত দুর্বলতা নয়, বরং কৌশলগত ভুল ছিল।