ইরান-ইসরাইলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে তা স্থায়ী হওয়া দরকার বলে মনে করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান। ন্যাটো সম্মেলন উপস্থিত বিভিন্ন দেশের নেতাদের তিনি এসব কথা বলেছেন বলে তার কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হেগে ন্যাটো সম্মেলনের সাইডলাইনে এরদোগান ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আঞ্চলিক উত্তেজনা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পর এরদোগানের কার্যালয় জানিয়েছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন, এবং এখনকার পরিস্থিতিকে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী শান্তিতে রূপ দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, গাজায় মানবিক সঙ্কটও অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে এবং সেখানেও জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি দরকার।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিদরিশ মেয়াৎসের সঙ্গে বৈঠকেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট একই আহ্বান জানান এবং বলেন, গাজার মানবিক সঙ্কটের সমাধান খুঁজে বের করা দরকার।
এরদোগান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে বলেছেন, এসব উত্তেজনা যেন গাজায় ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া মানবিক সঙ্কটকে ভুলিয়ে না দেয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সমস্যার সমাধান কেবল কূটনৈতিক পথেই সম্ভব। মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি অর্জনে সবাইকে অবদান রাখতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্ক ইসরাইল এবং গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের ওপর তেল আবিবের আক্রমণের কঠিন সমালোচক।
দুই বছরের যুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির বেশিরভাগ এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, বাসিন্দাদের সিংহভাগই হয়েছে বাস্তুচ্যুত।
আঙ্কারা আরও বলছে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ অঞ্চলজুড়ে বৃহত্তর সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়েছে এবং তারা উভয় পক্ষের যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাচ্ছে।