জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহরান কামরাভা আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া সীমিত পরিসরের মধ্যেই থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
কামরাভা বলেন, ইরান চাইলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে পারে কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তারা সংঘাতকে বিস্তৃত করতে চায় না, এটি ইরানের সামরিক আচরণেই স্পষ্ট।
তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের আচরণে ব্যাখ্যা করে বলেন, ইসরাইলের ক্ষেত্রেও ইরান আগ্রাসী না হয়ে প্রতিরক্ষামূলক প্রতিশোধমূলক হামলা করেছে।
অধ্যাপক কামরাভা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান রাজনৈতিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য, যাতে দেশের জনগণকে দেখানো যায় যে ইরান ‘ঘুষি খেলে পাল্টা ঘুষি’ দিতে পারে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এ প্রতিক্রিয়া সম্ভবত এমনভাবে সাজানো হবে যাতে তা কৌশলগত বার্তা দেয়, কিন্তু সংঘাত বাড়ায় না।
কামরাভা আরও বলেন, বর্তমানে কূটনৈতিকভাবে সংঘাত থেকে সরে আসার বিকল্প পথগুলো ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল মিলে ইরানকে হুমকি ও শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে চাপে ফেলতে চাইছে।
তবে এ কৌশল কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি, কারণ ‘তেহরান সাধারণত হুমকির মুখে নতিস্বীকার করে না।’