শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক

ইসরাইল-ইরান চলমান সংঘাতের জেরে সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক। দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারের পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

রয়টার্সের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে আল-জাজিরা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, তুরস্ক নিজস্ব উৎপাদিত রাডার ও অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি রয়টার্সকে জানায়, ইসরাইল যখন ইরানে হামলা শুরু করে, তখন তুরস্কের কুইক রিঅ্যাকশন অ্যালার্ট বিমানগুলোও উড্ডয়ন করে। ইসরাইলি আকাশসীমা লঙ্ঘনের সম্ভাবনার মধ্যেও এই বিমানগুলো সীমান্ত বরাবর টহল অব্যাহত রাখে। 

সূত্রটি আরও উল্লেখ করেছে, তুরস্ক তার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করছে। ইরান থেকে কোনো অনিয়মিত অভিবাসন প্রবাহ লক্ষ্য করা না গেলেও আঙ্কারা তার সীমান্ত নজরদারি বাড়িয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এ পদক্ষেপ আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাব্য বিস্তারকেই নির্দেশ করে।

এদিকে গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইসরাইল-ইরান সংঘাত বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দিনে পৌঁছেছে। ইসরাইল বুধবার রাতে ইরানের নাতাঞ্জ ও আরাকের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য বৃহত্তর যুদ্ধ ও তেলের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চাচ্ছে, যা ‘তাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতারই নিদর্শন’। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, যেভাবে মার্কিন বন্ধুরা এসে জড়িয়ে পড়ছে ও নানা বক্তব্য দিচ্ছে, তাতে স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে জায়নিস্ট শাসনব্যবস্থা এখন কতটা দুর্বল ও অক্ষম।

এর আগে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে ‘শেষ করে দেওয়াই লক্ষ্য’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ যুদ্ধে খামেনিকে সরানো আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

এর প্রতিক্রিয়ায় খামেনি তার দেশবাসীকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি আমাদের প্রিয় জনগণকে বলতে চাই, শত্রু যদি বুঝতে পারে যে আপনি ভয় পেয়েছেন, তবে তারা পিছু হটবে না। আপনারা যেভাবে দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সঙ্গে এখন পর্যন্ত অটল থেকেছেন, সেভাবেই সামনে এগিয়ে যান।

খামেনির এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পারস্পরিক বিমান হামলায় দুই দেশেই নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। তেহরান ও অন্যান্য শহরে ইসরাইলি হামলা এবং ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

এই সম্পর্কিত আরো