ইরানের ভেতরে শুক্রবার (১৩ জুন) ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।দখলদার বাহিনীর মূল নিশানা ছিল দেশটির ইস্পাহান শহর।
অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে থাকা খনি এবং প্ল্যান্টের পাশাপাশি মধ্য ইরানের ইস্পাহানে ইরানের কনভারসন প্ল্যান্ট বা রূপান্তর কেন্দ্রটি দেশটির বিশাল পারমাণবিক অবকাঠামোর একটি অংশ।
এছাড়াও কাছাকাছি একটি বড় বিমান ঘাঁটি এবং একটি প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্সসহ উল্লেখযোগ্য ইরানি সামরিক অবকাঠামো রয়েছে।
২০২৪ সালের এপ্রিলে, ইসরাইল ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করে।
ইরানের দাবি, ইস্পাহানের স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইসরাইল এবং পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ করে আসছে, দীর্ঘদিন ধরে তেহরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ইস্পাহানের এই কনভারসন প্ল্যান্ট ব্যবহার করছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ইরানের ছয় বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব হামলায় দেশটির তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
ইসরাইলের হামলার জবাবে সেদিন থেকেই তেল আবিবে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইরান। শনিবার মধ্যরাত ও রোববার ভোরে দুই দফা হামলা চালায় ইরান। দ্রুতগতির মিসাইল ব্যবহার করে চালানো এই হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন।
এছাড়া ইসরাইলের বাত ইয়াম শহরে একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ৩৫ জন।