স্লোভেনিয়ায় মেলানিয়া ট্রাম্পের প্রথম ভাস্কর্যটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর একই স্থানে ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও উধাও হয়ে গেছে! এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মার্কিন ফার্স্ট লেডির ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি ২০২০ সালে তাঁর জন্ম শহর সেভনিকার কাছে উন্মোচন করা হয়। এর আগে একটি কাঠের ভাস্কর্য সেখানে স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু অগ্নিসংযোগে সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। ভাস্কর্যটি একটি গাছের গুঁড়ির ওপর স্থাপন করা হয়েছিল। ফলে ভিত্তিসহ ভাস্কর্যটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুলিশের মুখপাত্র অ্যালেনকা ড্রেনিক রাঙ্গুস গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ১৩ মে ভাস্কর্যটি চুরির খবর পাওয়া গেছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটির নির্মাতা আমেরিকান শিল্পী ব্র্যাড ডাউনি জানান, ভাস্কর্যটি পায়ের গোড়ালি থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জার্মানিতে একটি নতুন প্রকল্পের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ডাউনি চুরির খবরটি জানতে পারেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ডাউনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এর সঙ্গে নতুন করে নির্বাচিত হওয়ার (ডোনাল্ড ট্রাম্পের) সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু থাকতে পারে, তবে কে জানে!’
তিনি বলেন, যখন কাঠের ভাস্কর্যটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন নিজ গরজেই ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই ঘটনাকে ‘সৌধবিরোধী, প্রচারণাবিরোধী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন তিনি।
কাঠের ভাস্কর্যটিতে মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে একটি নীল পোশাক ও হিল পরা অবস্থায় দেখানো হয়েছিল। স্থানীয় শিল্পী আলেস জুপেভক একটি গাছের গুঁড়ি চেইন’স দিয়ে খোদাই করে সেটি বানিয়েছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষের দিকে, যখন তিনি পুনর্নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছেন, তখন ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি সেভনিকার কাছে একটি ব্যক্তিগত জমিতে স্থাপন করা হয়। ভাস্কর্যটির ভারসাম্য রক্ষার জন্য কংক্রিট ও ধাতব বার ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু কে বা কারা ভাস্কর্যটি গোড়ালি থেকে কেটে নিয়ে গেছে।
মেলানিয়া ট্রাম্পের স্বামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে আগমনের পর তাঁর নিজ দেশের মানুষ আশা করেছিলেন, তিনি হয়তো একদিন জন্মভূমিতে আসবেন। কিন্তু মেলানিয়া সেটি কখনোই করেননি।
স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবলিয়ানা থেকে ৬০ মাইল পূর্বে অবস্থিত সেভনিকায় মেলানিয়া ট্রাম্পের নামে কেক ও চকলেটসহ অসংখ্য পণ্যের নামকরণ করা হয়েছে।