শুল্ক কমিয়ে চীনের অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের ক্ষতি করতে চাই না। দেশটি আগে থেকেই নানা ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছিল। কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, দেশজুড়ে অস্থিরতা বাড়ছিল। সব মিলিয়ে এই চুক্তিটি চীনের জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক। একটা সমাধানে পৌঁছাতে পেরে তারা খুব খুশি।’
গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। সেখানে দীর্ঘ আলোচনার পর একটি চুক্তিতে পৌঁছায় দুপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী, ৯০ দিনের আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করবে। অন্যদিকে, চীনও তাদের পাল্টা শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করবে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, সব শুল্ক একেবারে বাতিল করা হয়নি—কিছু শুধু সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। যদি আগামী তিন মাসে আলোচনায় নতুন কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে শুল্ক আগের অবস্থানে ফিরতে পারে। অবশ্য, সেখানে আর ফিরতে হবে না বলে আশাবাদী ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল ১০ শতাংশ বেসলাইন ধরে ঢালাওভাবে শতাধিক দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দেশগুলোর মধ্যে ৬০টি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়, যার মধ্যে একটি ছিল চীন। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয় দেশটির পণ্যের ওপর। জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে।