রবিবার, ১১ মে ২০২৫
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

ভারতের প্রথম স্বীকারোক্তি

কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি। এবার পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ভারতের তিনটি বিমানঘাঁটিতে- এমনটাই প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে ভারত।

শনিবার (১০ মে) এক জরুরি ব্রিফিংয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর, পাঞ্জাবের পাঠানকোট এবং বাথিন্ডার বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হয়েছে। যদিও এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। খবর এনডিটিভি।

দিল্লিতে আয়োজিত ওই বিশেষ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি, সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। তারা জানান, ভারত উত্তেজনা বাড়াতে চায় না, বরং কৌশলগতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।

এর আগে শুক্রবার রাতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে, ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’-এর অংশ হিসেবে তারা ভারতের তিনটি বিমানঘাঁটিতে সফল হামলা চালিয়েছে।

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৩ বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত—ভারতের প্রথম স্বীকারোক্তি
ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটিতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলার দাবি
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পাঞ্জাবের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায় অবস্থিত ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র মজুতাগার- যেখানে রাশিয়ার সহযোগিতায় তৈরি হওয়া ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষিত- তা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে।

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে অন্যতম আস্থার প্রতীক। এটি রাশিয়ার এনপিও মাশিনোসট্রোয়েনিয়া ও ভারতের ডিআরডিওর যৌথ উদ্ভাবন। সুপারসনিক গতির এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং এটি জাহাজ, সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান ও স্থল থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার রাতে ভারত নিজেই চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি হামলা। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, সরকোটের রফিকি ঘাঁটি ও চকওয়ালের মোরাইদ ঘাঁটি এই হামলার লক্ষ্য ছিল। ভারতীয় হামলার পরপরই পাকিস্তান তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু করে।

পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ নূর খান ঘাঁটিতে চালানো ভারতীয় মিসাইল হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপরই পাকিস্তান চালায় তাদের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ অভিযান।

উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এ মুহূর্তে নজিরবিহীন এক নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল দুই দেশকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরো