বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় বাংলাদেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা ৪ কোটির উপরে। এদের বেশির ভাগ ই দেশি বিড়ি সিগারেট খায়, যার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা যায়। মরণ ব্যধী ‘ক্যান্সার’ এ আক্রান্তের মধ্যে এক বড় অংশ আবার এই দীর্ঘ মেয়াদী বিড়ি সিগারেট ও তামাক জাতীয় জিনিষ সেবন থেকে হয়। সমীক্ষায় ও রিপোর্টে দেখা যায় প্রতি বছর দেশে প্রায় ১ লাখ বিশ হাজার ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু হয়। এর একটি বড় অংশ ধূমপান থেকে হয় বলে বিশেষজ্ঞগন মনে করেন। বাংলাদেশে উৎপাদিত ও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সিগারেট কে ই মূলত দায়ী করেন, বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষ করে দেশে উৎপাদিত ‘নিন্ম মানের’ বিড়ি ও সিগারেট অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে উতাপদিত হয়, যা খেয়ে একটা বড় অংশ ধূমপায়ী ফুসফুস, আলসার ও অন্যান্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।
ধূমপানের বিকল্প অথবা কম ক্ষতিকর স্বাস্থ্য বান্ধব ধূমপানের জন্য কি করা যায় তা নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ বেশুমার স্টাডি করেছে, বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়া যেখানে ধূমপায়ীর সংখ্যা অতি বেশি। কিছু রিপোর্ট ঘেঁটে দেখা গেছে বিশ্বের অনেক বড় বড় সিগারেট উৎপাদনকারীরা সিগারেট এর বিকল্প হিসাবে ‘ই সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট এর মত উন্নত মানের প্রোডাক্ট ডেভেলপ করেছে যা বিশ্বের অনেক দেশে সমাদৃত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ ও এশিয়ার ফিলিপাইন সহ নানা দেশ ইতিমধ্যে এই নতুন বৈজ্ঞানিকভাবে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপড প্রোডাক্টকে স্বীকৃত দিয়েছে ও স্বাস্থ্য, পরিবেশের জন্য অনেক কম ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করেছে। এই অবস্থায় হটাত বাংলাদেশ এর অন্তর্বর্তী সরকার কেন তোড়িঘড়ি করে ‘ই সিগারেট ব্যন এর নামে, সবকিছু আমদানি ও বাজারজাতকরণ বন্দ করে, যারা উন্নতমানের ও প্রাণঘাতী নয় এমন প্রোডাক্ট এ গিয়েছিল, তাদেরকে আবার বিড়ি সিগারেট ও মাদক সেবনের দিকে ঠেলে দিলো তা বোধগম্য নয়। এমিনিতে ই ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সুকিতিসা দিতে রাষ্ট্র হিম সিম খাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেখানে এইচ টি পি ও হিটেড নট বার্ন টাইপ প্রোডাক্ট এর গুণাগুণ যাচাই না করে ও কোন বিশেষজ্ঞ প্যানেল এর সাথে আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্দান্ত কি দেশের প্রায় ৪ কোটি ধূমপায়ী ও নতুন যারা স্বাস্থ্য সচেতন তরুণ সমাজ তাদের কেও বিড়ি সিগারেট ও মাদকের দিকে ধাবিত করা হোল কিনা সেটা সচেতন মহল মনে করে।
ডাল্টন জহির
বিদেশী প্রতিনিধি : ইউরোপীয় আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির
মহাসচিব : সেভ দ্য রিভার বাংলাদেশ সোসাইটির
সদস্য : বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
পরিচালক : বাংলাদেশ পর্যটন ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন
প্রতিষ্ঠাতা : ইউরোপ কী, ট্র্যাভেলার কি, স্বাগতম-বাংলাদেশ
প্রেসিডেন্ট: ইন্টারন্যাশনাল ইকোট্যুরিজম সোসাইটি পর্তুগাল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন