বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান ২০০৫ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘পরিণীতা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন প্রদীপ সরকার ও প্রযোজনায় বিধু বিনোদ চোপড়া। কিন্তু সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে এ যাত্রার শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না বলে জানান নায়িকা।
বিদ্যা বালান বলেন, ‘পরিণীতা’ সিনেমার শুটিংয়ের আগে বিধু বিনোদ চোপড়া আমাকে বলেছিলেন— ‘তোমার নাকটা খুব লম্বা, সার্জারি করাও।’ তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
অভিনেত্রী বলেন, সোজাসুজি বলে দিয়েছিলাম— আমি এটা করব না। আমি যেমন আছি, তেমনই থাকতে চাই। আজ পর্যন্ত নিজের মুখে কিছুই করাইনি, শুধু মাঝেমধ্যে ফেশিয়াল করাই। ঈশ্বর যেমন সৃষ্টি করেছেন, সেটাই আমার কাছে যথেষ্ট সুন্দর বলে জানান বিদ্যা বালান।
শুধু এটাই নয়, এর আগেও এমন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল নায়িকার জীবনে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এক মালয়ালম সিনেমায় কাজ করার সময় তাকে বলা হয়েছিল নিজের পদবি বদলাতে। বিদ্যা বলেন, আমাকে বলা হলো— তুমি তো আইয়ার, তাহলে ‘বিদ্যা আইয়ার’ নামেই কাজ কর, ‘বিদ্যা বালান’ নয়।
তিনি বলেন, তখন রাজি হয়ে নাম পাল্টেও ফেলেছিলাম। কিন্তু বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলি। মা-বাবা তখন বলেছিলেন— ‘তুমি সবসময়ই বিদ্যা বালানই থাকবে।’ পরে সেই সিনেমাটিও আর হয়নি।
অভিনেত্রী বলেন, এ ধরনের ছোটখাটো ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি বুঝেছিলেন, নিজেকে যদি ঠিক মনে না হয়, তাহলে কোনো কাজেই শান্তি পাওয়া যায় না। বিধু বিনোদের প্রস্তাব শুনে তার একই অনুভূতি হয়েছিল।
বিদ্যা বলেন, ‘বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আমি প্রথম তিনটি সিনেমা করেছি। খুবই গুছিয়ে এবং পেশাদার পরিবেশে কাজ হতো। সময়মতো সব প্রস্তুতি থাকত, সেটে গিয়ে আর ঝামেলা হতো না। তাই এ প্রতিষ্ঠানকে আমি নিজের ‘আলমা মেটার’ বলে মনে করি' বলে জানান অভিনেত্রী।