ভোলার মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নে দুই বছর বয়সী ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় পুলিশ চার আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
শনিবার সকাল ১০ টায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর খাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান মনপুরা সদর থানার ওসি আহসান কবির।
ওসি জানান, ঘটনার দুইদিন পর বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মনপুরা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ওই ভূতভোগী নারী চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। পরে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নে মনপুরা থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তবে ওই ঘটনায় জড়িত অপর এক আসামী পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত তিন আসামী হলেন, খোরশেদ আলমের ছেলে রুবেল, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারীর ছেলে নাহিদ ও সালাউদ্দিন সওদাগারের ছেলে সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ। তবে মামলায় অপর আসামী সজিব পলাতক রয়েছে। এদের সবার বাড়ি উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, আমার স্বামী চাকরী করে ঢাকায়। ঘরে আমার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে থাকি। সোমবার রাতে আমার ফোনে কল দিয়ে বলে আপনার ফোনে ৫০ টাকা লোড গেছে। টাকা ফেরত দেন। কিন্তু আমি ব্যালেন্স চেক করে দেখি টাকা আসে নাই। তারপরও ওরা বারবার কল করে বিরক্ত করে। পরে রাত আনুমানিক ২ টার পর ঘরের বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে আমার ছেলের গলায় ছুরি ধরে। দুইজন আমার মুখ ও হাত-পা চেপে ধরে। পরে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে স্বজনদের পরামর্শে ঘটনার দুইদিন পর মনপুরা থানায় এসে মামলা করি।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, ছেলের গলায় ছুরি ধরে চার যুবক এক নারীকে গণধর্ষন করে। পরে থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ও মামলার চার আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে। পলাতক অপর আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, তিনি (ওসি) নিজেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে।