শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
জনগনের ভোটের অধিকার ফেরাতে সংকল্পবদ্ধ বিএনপি- আহমদ আলী মুকিব সিলেটে খালে ভাসছিলো ‘ভারতীয় নাগরিকের’ লাশ গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারবাসীর উন্নয়নে জন্য কাজ করবো : সৈয়দা আদিবা সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়: খন্দকার মুক্তাদির পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস, নিহত ২৭ নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন : আইএসপিআর সুনামগঞ্জে চোরাচালানের মামলায় আ. লীগ সভাপতি গ্রেফতার ৪ জনের মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে কী লেখা ছিল খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে মৌলভীবাজারে বিএনপির দোয়া মাহফিল ভোলাগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাটির নিচে পুতে রাখা পাথর উদ্ধার
advertisement
সারাদেশ

৪ জনের মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে কী লেখা ছিল

রাজশাহীতে বাসা থেকে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পাশেই পড়েছিল চিরকুট। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের। 

মৃতরা হলেন—মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী মনিরা খাতুন (৩১), ছেলে মাহিম (১৪) এবং মেয়ে মিথিলা (৩)। মরদেহের পাশে পড়ে থাকা চিরকুটে ঋণের কথা বলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন। তাদের বসতবাড়ির উত্তরের ঘরে মনিরা বেগম ও তার মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। আর দক্ষিণের ঘরে মিনারুল ইসলাম ও তার ছেলের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটা চিঠি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা মিনারুলের লেখা। এতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এটা কার লেখা।

চিরকুটে লেখা আছে, আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা লিখব, সব আমার নিজের কথা। কারণ, আমরা চারজন আজ রাতে মারা যাবো। এই মৃত্যুর জন্য কারও কোনো দোষ নেই। 

এতে লেখা আছে, আমি মিনারুল প্রথমে আমার স্ত্রীকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিমকে (ছেলে) মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে (মেয়ে) মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি। 

চিরকুটে আরও লেখা আছে, আমাদের চারজনের মরা মুখ যেন বাপের বড় ছেলে ও তার স্ত্রী-সন্তান না দেখে এবং বাপের বড় ছেলে যেন জানাজায় না আসে। আমাদের চারজনকে কাফন দিয়ে ঢাকতে আমার বাবা যেন টাকা না দেয়। এটা আমার কসম। 

চিরকুটের আরেক পাতায় লেখা আছে, আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম, কারণ আমি একা যদি মরে যাই তাহলে, আমার স্ত্রী-সন্তানরা কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমারা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভাল হলো। কারও কাছে কিছু চাইতে হবে না। আমার জন্যে কাউকে মানুষের কাছে ছোট হতে হবে না। আমার বাবা আমার জন্য অনেক মানুষের কাছে ছোট হয়েছে, আর হতে হবে না। চির দিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই সম্পর্কিত আরো

জনগনের ভোটের অধিকার ফেরাতে সংকল্পবদ্ধ বিএনপি- আহমদ আলী মুকিব

সিলেটে খালে ভাসছিলো ‘ভারতীয় নাগরিকের’ লাশ

গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারবাসীর উন্নয়নে জন্য কাজ করবো : সৈয়দা আদিবা

সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়: খন্দকার মুক্তাদির

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস, নিহত ২৭

নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন : আইএসপিআর

সুনামগঞ্জে চোরাচালানের মামলায় আ. লীগ সভাপতি গ্রেফতার

৪ জনের মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে কী লেখা ছিল

খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে মৌলভীবাজারে বিএনপির দোয়া মাহফিল

ভোলাগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাটির নিচে পুতে রাখা পাথর উদ্ধার