ফরিদপুরের যৌনকর্মীদের সন্তানদের মাঝে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া শুরু হয়েছে। যা দিয়ে এসব শিশু এখন স্কুলে ভর্তি হতে পারবে।
আজ শনিবার দুপুরে ফরিদপুর পৌরসভার হলরুমে শাপলা মহিলা সংস্থার উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুরের রথখোলা ও সিঅ্যান্ডবি ঘাটের দুটি যৌনপল্লির ৩৫ শিশু ও যৌনকর্মীকে এ জন্মসনদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলে বাইরে শিশুরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
শাপলা মহিলা সংস্থা জানায়, যৌনপল্লি দুটিতে ৩৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। আর তাঁদের শিশুসন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেরই জন্মনিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। যৌনকর্মীর সন্তানদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়ালেখার সুবিধা দিয়ে আসছে শাপলা মহিলা সংস্থা। শহরতলির গেরদায় শিশুদের আবাসনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০টি মেয়ে ও ৩৫টি ছেলে রয়েছে।
জন্মসনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা জানান, দি ফ্রিডম ফান্ডের সহযোগিতায় এসব শিশু ও যৌনকর্মীদের জন্মসনদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় বাবার নাম-পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এই জন্মসনদের মাধ্যমে সব নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে। এ ছাড়া তাঁদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌর প্রশাসক মো. সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান, দ্য ফ্রিডম ফান্ডের বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার, শাপলা মহিলা সংস্থার উপনির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমুখ।