নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে বলগেটের ধাক্কায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় সাকিব উদ্দিন (১৭) নামে এক কিশোর জেলের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরেক তরুণ জেলে আরাফাত। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি আফছার ও জেলে রহমান।
সোমবার (২৮ জুলাই) ভোরে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সাকিব উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের শুল্লুকিয়া গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে। নিখোঁজ আরাফাত একই উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে, মাছ ধরার কাজ শেষে ট্রলারটি নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। গভীর রাতে ট্রলারে থাকা চার জেলে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ রাত ৩টার দিকে দক্ষিণ দিক থেকে আসা একটি বলগেট ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি মুহূর্তেই উল্টে যায়
চিৎকার শুনে পাশের ট্রলারগুলো থেকে জেলেরা ছুটে এসে আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ভেসে উঠে সাকিবের লাশ। তবে নিখোঁজ আরাফাতের কোনো খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী জেলে জামসেদ বলেন, ‘রাতের গভীরে হঠাৎ করেই চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। দ্রুত গিয়ে দেখি ট্রলারটি ডুবে গেছে। আমরা দুজনকে উদ্ধার করতে পারলেও বলগেটটি অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত উত্তর দিকে চলে যায়। তাই সেটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’
নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা বলেন, খবর পেয়েই একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে বৃষ্টিপাত ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, নদীতে বলগেট চলাচলের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকায় প্রায়শ এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা বলগেট চলাচলের সময় নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত আলো ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।