ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত শিশু তাসমিন আফরোজ আয়মানের (১০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) এশার নামাজের পরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা মাজেদ হাওলাদারের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত আয়মান শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন বাপ্পির মেয়ে।
বিমান দুর্ঘটনার পর দগ্ধ হয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়মান রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চার দিন চিকিৎসাধীন ছিল।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জুমার নামাজের পর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা শেষে আয়মানের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন স্বজনেরা। সন্ধ্যায় আয়মানের মরদেহ ভেদরগঞ্জ উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আশে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আয়মানের বাবা বাপ্পি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। উত্তরায় নিজের বাড়িতে স্ত্রী ও তিন কন্যাসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
মেয়েকে কবরে শায়িত করে বাবা ইসমাইল হোসেন বাপ্পি আহাজারি করছিলেন আর বলছিলেন, ‘আমি আমার মাকে ছাড়া কীভাবে থাকব! আমার মা আমাকে ছাড়া একা অন্ধকার কবরে কীভাবে থাকবে?’
আয়মানের চাচাতো ভাই মাহাতাজ হাওলাদার বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় আয়মানের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। সে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ সকালে আয়মানের মৃত্যুর খবর পাই।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা শেষে সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা মাজেদ হাওলাদারের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। আয়মানের মৃত্যুতে তার মা-বাবাসহ আমরা সবাই শোকাহত। এমন করুণ মৃত্যু আর কোনো শিশুর যেন না হয়।