চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্যাংকার ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় নারী, শিশুসহ আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্প ও বন বিভাগের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থলে নিহত হন দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অন্যজন হলেন সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ী গ্রামের আসকার আলীর মেয়ে মোছা. মাছুরা (৫৯)।
এদিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৯টার দিকে মারা যান ইজিবাইকের চালক আরিফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। তাঁদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ইজিবাইকের যাত্রী সরোজগঞ্জ সিপি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত দেলোয়ার হোসেন সাইম (২৮), দামুড়হুদার দুধপাতিলা গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২২), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে ফাহাদ আহম্মেদ (২২), তাঁর স্ত্রী রিয়া খাতুন (২০) ও তাঁদের শিশু সন্তান ইয়াসিন (১)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল ইমরান জুয়েল বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত একই দুর্ঘটনায় জখম পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশনে রাখেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল; তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে রাজশাহী নেওয়ার আগেই পুরুষ সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে আরিফুল ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় দুজনকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনাস্থলে দুজন, চিকিৎসাধীন একজনসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ট্যাংকার ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্যাংকারের চালককে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজতে অনুসন্ধান চলছে।’