সাভারে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাসুদ মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
শনিবার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের তেঁতুলঝোড়া কলেজের শাহি মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তেঁতুলঝোড়া এলাকার একটি দোতলা ভবনের রুম থেকে নিহতের ক্ষতবিক্ষত নগ্ন লাশ উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। পরে বিকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত লতা বেগম (১৭) স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে সেলিমের সঙ্গে লতার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। একই বাড়িতে লতা ও সেলিমের মা-বাবা পৃথক রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বিয়ের পর থেকেই কয়েক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া চাপ দিচ্ছিলেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার আবারও লতাকে মারধর করে। এ সময় লতাও বাঁচার জন্য শ্বশুরকে আঘাত করেন। এতেও রক্ষা হয়নি লতার। পরে শ্বশুর তাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা দুপুরে ঘরের মধ্যে লতার ক্ষতবিক্ষত ও নগ্ন লাশ দেখে সাভার মডেল থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাসুদ মিয়াকে গণপিটুনি দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, তার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে লতা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়াকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সবুজ বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে জানান, লতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শ্বশুর মাসুদ মিয়া নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।