ভারতে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ধরপাকড় জোরদার হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে পুশইন থামছে না। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপসার সীমান্ত দিয়ে আরও ২৩ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পুশইন হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ৫ পুরুষ, ১২ নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছেন।
দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক কিনা, তা যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হরিপুর থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল পুশইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহম্মদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পুশইনের প্রবণতা বেড়েছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনায় বিজিবি নিয়মিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের আসাম রাজ্যসহ অন্য এলাকা থেকে পুশইন কার্যক্রম আরও জোরালো হতে পারে। সূত্রটির দাবি, ভারতের রায়গঞ্জ শহরে সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তিন থেকে চার শতাধিক বাংলা ভাষাভাষী নারী, শিশু ও বিভিন্ন বয়সের মানুষকে রাখা হয়েছে। সুযোগ পেলেই তাদের বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় প্রশাসন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ঠাকুরগাঁ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন পুশইনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে এ বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ করা উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন বলেন, এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটি মানবিক ট্র্যাজেডি। বৈরী মনোভাব থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
তিনি মনে করেন, ভারত ও বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত।