শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সারাদেশ

কালুরঘাট ট্রেন দুর্ঘটনা, জানা গেল যে কারণ

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে অটোরিকশা, দুটি মোটরসাইকেল ও একটি আইসক্রিমবাহী ভ্যানের ধাক্কা দেয়। এতে দুইজন নিহত এবং অন্তত বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে এ দুর্ঘটনার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের চালককে দায়ী করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন- নিয়ম না মেনে ট্রেন সেতুতে উঠে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার রাতে সেতুর বোয়ালখালী অংশে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, দুটি মোটরসাইকেল ও একটি আইসক্রিমবাহী ভ্যানকে ধাক্কা লাগে।

এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। তবে শুরুতে তিনজন নিহতের কথা জানিয়েছিল পুলিশের একটি সূত্র। নিহতরা হলেন- অটোরিকশাচালক তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুষার (২৯) ও দুই বছরের শিশু মেহেরিমা নূর।

দুর্ঘটনার বিষয়ে জাহানআলী রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. নেজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, পর্যটক এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে। রাত ১০টায় কালুরঘাট সেতু এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় সেতুর ওপর একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল আটকে ছিল। পর্যটক এক্সপ্রেস চলে আসলে ওই যানবাহনে ধাক্কা লাগে।

ট্রেনচালক সংকেত অমান্য করেছেন কি না জানতে চাইলে নেজাম উদ্দিন বলেন, ট্রেন পূর্ব প্রান্তে দাঁড়িয়ে চালক ডেড স্টপ বইতে সই করানোর নিয়ম। এরপর লাইনম্যানের সংকেত নিয়ে সেতুতে উঠার কথা। কিন্তু ট্রেনচালক এ নিয়ম না মেনে দ্রুতগতিতে সেতুতে উঠে যান। এ সময় উল্টো দিক থেকেও গাড়ি আসছিল।

তিনি আরও বলেন, সেতুতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ১০ কিলোমিটার। কিন্তু পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটির গতি ছিল ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। ফলে চালক কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না।

এদিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর উপর ট্রেনের ধাক্কায় সংঘটিত দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে চার রেলকর্মীকে। 

বরখাস্তকৃতরা হলেন- পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্ব পালনকারী গার্ড সোহেল রানা (হেড কোয়ার্টার,  চট্টগ্রাম), লোকো মাস্টার গোলাম রসুল (টি নং-৫৩০), সহকারী লোকো মাস্টার আমিন উল্লাহ (টি নং-৭২৩) এবং অস্থায়ী গেট কিপার (টিএলআর) মাহবুব।

দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিএমই (লোকো), চট্টগ্রাম; ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-১ এবং বিভাগীয় চিকিৎসক, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি গত ৫ জুন রাত ১০টায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু পার হওয়ার সময় সিগনাল না মেনে কতিপয় যানবাহন সেতুতে উঠে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। আহতদের চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই সম্পর্কিত আরো