জামালপুরের মাদারগঞ্জে গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খননের কাজ শেষে প্রাথমিক পরীক্ষায় গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এখন পর্যন্ত ৭.২ মিলিয়ন ঘনফুট চাপে গ্যাস বের হচ্ছে।
রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। শনিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক পরীক্ষায় এই গ্যাস মিলেছে। আগামী ১৫ দিন পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা শেষে কী পরিমাণ গ্যাস রয়েছে তা জানা যাবে।
মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত কূপটির ১ হাজার ৪৪১ মিটার গভীর থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। ওই স্তরের উপরে আরও একটি স্তর রয়েছে; সেখানেও গ্যাস রয়েছে। এছাড়াও তেল বা কোনো পদার্থ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা শেষে জানা যাবে।
বাপেক্স কতৃপক্ষ জানায়, ২৪ জানুয়ারি জামালপুর-১ গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কাজ শুরু হয়। দুই হাজার ৬০০ মিটার গভীরে ৩টি স্তরে ডিএসটির (ড্রিল স্টেম স্টেট) মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ১০ মে। শনিবার রাতে অগ্নি প্রজ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে কতৃপক্ষ। কূপটিতে ৪০০ বিসিএফ গ্যাস রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত গ্যাস পাওয়া গেলে এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে ১৯৮৪ সালে সংগৃহীত সাইসমিক উপাত্ত থেকে সর্বপ্রথম লিড/প্রসপেক্টের ধারণা পাওয়া যায়। পরে ২০১৪ সালে ওই এলাকায় দ্বিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ এবং ২০১৫ সালে ক্লোজ-গ্রিড সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন করা হয়। ২০১৭ সালে আজারবাইজানের গ্যাস অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান সরকার কূপ খননের কাজ পেলেও একপর্যায়ে কাজ শেষ না করে প্রতিষ্ঠানটি চলে যায়। সাত বছর পর গত ২৪ জানুয়ারি জামালপুর-১ নামে কূপটির খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। তিন মাস কূপ খনন শেষে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। গ্যাস পাওয়া গেলে আনুমানিক ২৫-৩০ বছর গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে জানায় বাপেক্স।