নাটোরের লালপুরে ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও পাল্টা মিছিল হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে রামকৃষ্ণপুর চিনির বটতলা মোড়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন।
আহতরা হলেন- সাব্বির (২৪), মহসিন মন্ডল (৩২), জিয়া (৪৫) ও সুজাত নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন। আহতদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিএনপি ও স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সাব্বির (২৪) নামে একজন আহত হন। তাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে লালপুর ইউনিয়ন বিএনপি এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন- সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম লুলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপি নেতা এটিএম জাহিদুল আলম ডলার ও জিয়া।
তারা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি পরিকল্পিতভাবে ঈদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
লালপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক কালু জানান, রামকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে পলাশ চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি বর্ষণ করতে করতে রামকৃষ্ণপুর মোড়ে প্রবেশ করে। এ সময় সুজাত নামের এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর থানার ওসি নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় নয়জনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।