রাজধানীর আদালত পাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে দিনে দুপুরে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান সামী জানান।
নিহতের নাম তারিক সাইদ মামুন (৫২)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ফারুক হোসেন জানান।
তারিক সাঈদ মামুনের খালাতো ভাই হাফিজ বলেন, আমার ভাই একজন সাধারণ মানুষ। কী কারণে তাকে কে হত্যা করলো আমি জানি না। সে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না। কারা তাকে হত্যা করেছে, কী কারণে করেছে আমার জানা নেই।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, ফুলহাতা টিশার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি হঠাৎ দৌড়ে এসে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকের সামনে দিয়ে প্রবেশ করেন এবং মাস্কে মুখ ঢাকা এবং ক্যাপ পরা দুই যুবক পেছন পেছন এসে পিস্তল দিয়ে গুলি করে চলে যায়।
সেখানে দায়িত্বরত একজন নিরাপত্তারক্ষী বলেন, হত্যার শিকার ওই ব্যক্তিকে বেলা ১০টা ৫১ মিনিটের দিকে হাসপাতালের ফটক দিয়ে বের হন। প্রধান ফটক পার হয়ে একটু সামনে এগোনোর পর রাস্তা থেকে তার দিকে গুলি করে হামলাকারী দুইজন। এরপর তিনি দৌড়ে আবার হাসপাতালের ফটকের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
তখন মাস্ক পরিহিত দুই হামলাকারী সিনেমার কায়দায় হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে করতে হাসপাতালে প্রধান ফটক থেকে একটু ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে তারা কবি নজরুল কলেজের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, নিহত সাঈদ মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই শহীদ সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই ঘটনায় মামুন আহত হলেও পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হয়।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। আজ তিনি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পরেই দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।