দেশে টানা চার মাস মূল্যস্ফীতি কমার পর ফের বাড়াকে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি আশা রাখছেন, চলতি অর্থবছরে দেশের মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
রোববার রাজধানীতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
গভর্নর জানান, নতুন বাংলাদেশ ব্যাংক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে আর্থিক খাত রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে এবং কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা দুর্বৃত্তায়ন হবে না। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়বদ্ধতা বাড়াতে অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডারও প্রস্তুত হচ্ছে।
চার মাস মূল্যস্ফীতি কমার পর বেড়েছে। এটিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন গভর্নর, ‘ইনফ্লেশন কিছু কমেছে। আরও অনেক কমাতে হবে। প্রতি মাসেই যে কমবে এই ধারণা করাটাও আবার ভুল হয়। দুই মাস-তিন মাস কমবে। আবার এক মাস বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কারে ভেতরের ‘শত্রু’ দমন করা হয়েছে এবং এখন দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।
গভর্নর বলেন, ‘টাকা ছাপাতে ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। ক্যাশলেস ব্যবস্থা করলে এর পরিমাণ কমে আসবে।’
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষ গ্রামে ফেরত যাবে না। বস্তির মানুষকে হাউজিং ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। দেশে হাউজিং লোনের পরিমাণ মাত্র ৪ শতাংশ। হাউজিং লোন কমপক্ষে ২০ শতাংশে নিতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ডিজিটাল আর্থিক সেবায় যেতে হলে স্মার্টফোনের দাম ৬ থেকে ৭ হাজারে কমিয়ে আনতে হবে। কম দামে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করলে দ্রুত ক্যাশলেস অর্থনীতিতে যাওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা ও কর্মসংস্থান বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য। ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছি। ভারতের ১০ ভাগের এক ভাগও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয় না।’