বাংলাদেশ মিডিয়া ক্লাব লি. (বিএমসি) নামের একটি মদের বারের মালিক নঈম নিজাম। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে এ মদের বারের লাইসেন্স দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন আমিনুর রহমান খান নামে পুরানা পল্টনের এক ব্যক্তি।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে নঈম নিজাম পলাতক; কিন্তু রহস্যজনকভাবে তার মালিকানাধীন মদের বার চালু করতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বারটি অন্যত্র স্থানান্তর করে ব্যবসা চালাতে একটি প্রভাবশালী মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
অথচ বার লাইসেন্স স্থানান্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিখিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল এক আদেশে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ কারণে নঈম নিজামের মদের বার স্থানান্তর হচ্ছে না; কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সুবিধা করতে না পেরে তারা বিকল্প পথে আদালতের মাধ্যমে নির্দেশনা আনার চেষ্টা করে।
এতেও তারা সফল হয়নি। কারণ অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় নঈম নিজামের নাম জানার পর এ বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত দেন। তবে এরপরও প্রভাবশালীদের তৎপরতা থেমে নেই। বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে চাপ দিয়ে অতি গোপনে উদ্দেশ্য হাসিলের চেস্টা করা হচ্ছে।
অতএব বিনীত নিবেদন এই যে, যেহেতু আইন অনুযায়ী পলাতক অবস্থায় কোনো ব্যক্তি’র মদের বার ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ নেই। তাই বিষয়টির গভীরে গিয়ে যথাযথ তদন্ত করা হোক। অন্যথায় সেই নঈম নিজাম পলাতক অবস্থায় মদের বার পরিচালনার সুযোগ পাবেন; যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপন্থি।