ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের স্টক-ডিলার ও ব্রোকার নিবন্ধনের মেয়াদ চলতি বছরের ৮ জুন শেষ হলেও সনদ নবায়ন হয়নি। কারণ, পরিচালনা পর্ষদে থাকা সালমান এফ রহমানকে পুঁজিবাজারে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত দুটি চিঠি ডিএসইকে পাঠানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে অনিয়ম, জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন ও ৩ সেপ্টেম্বর পৃথক সিদ্ধান্তে তাঁকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তাই বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের স্টক-ডিলার ও ব্রোকার সনদ নবায়ন করা হয়নি, ফলে শেয়ার লেনদেন বর্তমানে বন্ধ।
আইন অনুসারে, সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে নবায়ন আবেদন করতে হয়। এই সময়ে আবেদন না করলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ২ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ ৯৪ দিন পর আবেদন করায় ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানার মুখে পড়েছে।
বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের পরিচালনা পর্ষদে দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে বেক্সিমকো হোল্ডিংস ও এসএস এক্সপোর্টস। সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো হোল্ডিংসের প্রতিনিধি হিসেবে থাকায় ও কারাগারে থাকার কারণে বোর্ড সভা করতে পারছে না কোম্পানিটি। এই কারণ দেখিয়ে কোম্পানিটি এখনো তাঁকে পরিচালক হিসেবে রেখে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করলে সমস্যা আগেই সমাধান হতো।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এক ব্যক্তির কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ঠিক নয়। প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে অনেক কর্মীও বিপদে পড়বে। অভিযুক্ত ও অপরাধীদের ব্যবস্থাপনায় না রেখে প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির প্রভাবে অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা কঠোর নজরদারি করতে হবে।