সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশ করে আর ফেরা হয়নি বাংলাদেশি কুটি মিয়ার। স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারণা ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে তিনি আহত বা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল ) বেলা ১১টা পর্যন্ত কুটি মিয়া দেশে ফিরে না আসায় চিন্তিত তাঁর পরিবার ও স্বজনরা।
কুটি মিয়ার স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, আমার স্বামী বৃহস্পতিবার সকালে গরুর ঘাস কাটতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজখবর পাচ্ছি না। কোথায় আছেন জানি না।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বলেন, “ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে তিনি মারা গেছেন কি না সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, ভারতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু আমরা এখনো তাঁর আহত কিংবা নিহত হওয়ার খবর পাইনি। ভারতে তিনি কী অবস্থায় আছেন, সেটাও আমাদের জানা নেই। তারা ছয়জন ভারতে ঢুকে পাঁচজন ফিরে এসেছেন, এটা জেনেছি।'
৫০ বছর বয়সি নিখোঁজ কুটি মিয়া দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মৃত মনির উল্ল্যাহর ছেলে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিনের বেলা দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার লংথ্রাইপুঞ্জি এলাকায় খাসিয়াদের বাগান থেকে সুপারি আনার জন্য অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। বিকালে ফেরার সময় সুপারি বস্তায় ভরেন তারা। ভারতীয় খাসিয়ারা তাদের দেখে ফেলায় তারা দৌড়ে পালিয়ে বাংলাদেশের আসার চেষ্টা করেন; পাঁচজন সীমান্ত পার হয়ে আসতে পারলেও কুটি মিয়ার আর ফেরা হয়নি। তবে তখন গুলির শব্দ শোনা যায়। কুটি মিয়া সেই গুলিতে আহত বা নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির সাংবাদিকদের বলেন, “গতকাল (১০ এপ্রিল) ছয়জন ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ৭ থেকে ১০ কিলোমিটারে দূরে গিয়েছিল। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় পাঁচজন ফেরত এসেছেন; একজন এখন পর্যন্ত আসতে পারেননি।”
“তবে আমরা জানতে পেরেছি, ভারতে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন তারা। সেখানে কী অবস্থায় তিনি রয়েছেন, সে বিষয়ের তথ্যের জন্য আমরা কাজ করছি।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা যেটা জানতে পেরেছি, তাদের ছয়জনই চোরাকারবারি। তাদের মধ্যে দুজনের নামে বিজিবির মামলা রয়েছে। ভারত থেকে ফেরা পাঁচজনই পলাতক রয়েছেন। তাদের আটক করতে আমাদের অভিযান চলছে।