শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

বৈষম্যমূলক বিয়ে সংক্রান্ত আইন নিয়ে সিলেটে ভেলিডেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার আলো আয়োজিত “Validation Workshop: Exploring Challenges and Pathways for Overcoming Discriminatory Marriage Laws” শীর্ষক এক কর্মশালা আজ শুক্রবার সিলেট শহরের নয়ারপুলস্থ Sylhet Paradise Inn-এ অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বৈষম্যমূলক বিয়ে-সংক্রান্ত আইনসমূহের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ, সামাজিক প্রভাব এবং এসব আইন সংস্কারের সম্ভাব্য পথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

গবেষণাভিত্তিক এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল— এসব বৈষম্য নিরসনে বাস্তবসম্মত নীতি ও পদক্ষেপ নির্ধারণে মতামত ও অভিজ্ঞতা যাচাই করা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রফিক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুন আসজাদ, সনাক সিলেট সভাপতি এডভোকেট সৈয়দা শিরিনা আক্তার, ব্লাস্ট সিলেট কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট সত্যজিৎ কুমার দাস, নয়া সড়ক খ্রিস্টান চার্চের ধর্মযাযক ফিলিপ সমদ্দার, সাংবাদিক সুবর্ণা হামিদ, নারী এক্টিভিস্ট তানজিনা বেগম, আশার আলোর পরিচালক মুস্তফা সাজিদুল ইসলাম, WGG প্রকল্পের প্রতিনিধি লিলিপুর মারমা, আশার আলো প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাজমুল করিম বিশ্বাস, এবং খাশিয়া, লোহার, মনিপুরী ও পাঙ্গাল কমিউনিটির প্রতিনিধি বৃন্দ।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রফিক। তিনি বলেন,“সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে আইনগত কাঠামোকে সময়োপযোগী করা প্রয়োজন। বৈষম্যমূলক বিয়ে সংক্রান্ত আইনসমূহ পর্যালোচনা ও সংশোধনের মাধ্যমে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আরও সুরক্ষিত করা সম্ভব।”

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুন আসজাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবার ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষায় ন্যায্য বিয়ে আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ জোরদার করা প্রয়োজন।”

আশার আলোর নির্বাহী পরিচালক মাহফুজ আলম বলেন, “বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য আইন, নীতি এবং সামাজিক মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। এই কর্মশালার মাধ্যমে আমরা মাঠপর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ তথ্যকে একত্র করে কার্যকর প্রস্তাবনা তৈরির লক্ষ্য নিয়েছি।”

কর্মশালাটি “Voices of Equality” উদ্যোগের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়, যা বৈষম্যমূলক আইন ও সামাজিক কাঠামো পরিবর্তনে অবদান রাখছে।

এই সম্পর্কিত আরো