প্রেমিককে বিশ্বাস করে বিয়ে করতে ঘর ছেড়েছিলেন হবিগঞ্জে ২৪ বছর বয়সী এক যুবতি। বাড়ি নবিগঞ্জ উপজেলায়। কিন্তু প্রেমিকপ্রবর শেষ পর্যন্ত কাজী অফিস ঘুরেও বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে যুবতিটিকে রাস্তায় হাতকাটা অবস্থায় পেয়ে পথচারিরা তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির পুলিশের ইনচার্জ খবর প্রেয়ে দ্রুত তার সাথে কথা বলেন। পরে তিনি অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছেন। তারা তাকে নিতে আসার আশ্বাস দিয়েছেন এবং এখন সবাই তাদের অপেক্ষায়।
মঙ্গলবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দেবাশীষ।
এরপর ওই যুবতি জানান, তার প্রেমিক প্রবরের নাম রণি আহমদ সাকিব। বাড়ি নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায়। প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে যুবতিটির পরিবারের লোকজন কিছুদিন আগে ছেলেকে দেখেছেন। তবে তাদের পছন্দ না হওয়ায় এ বিয়েতে সম্মত হন নি।
কিন্তু এরপরও যুবতি ওই সাকিবের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন। বিয়ের আশ্বাস দিলে তিনি রবিবার কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিলেট শহরে চলে আসেন। সাকিব তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তার বাবা ও মা যুবতিটিকে স্বাগত জানান এবং রাতে তিনি ওই বাসাতেই অবস্থান করেন।
পরদিন সোমবার সাকিব তাকে বিয়ে করতে বালুচর কাজী অফিসে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর সাকিব বিয়ের ব্যাপারে নানা ধরনের অজুহাত দেখাতে থাকেন।
যুবতিটি দাবি করেন, তার কাছে কাবিনের জন্য ১০ হাজার টাকা চান সাকিব। কিন্তু সেটা দিতে পারেন নি। এরপর তাকে নষ্টা ভ্রষ্টা ইত্যাদি বলে বিয়ে করতে অস্বীকার করে আবারও নিজের বাসায় ফিরিয়ে নেন।
তবে একটু পর আবারও তাকে বাসার বাইরে নিয়ে আসেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোডের আশাপাশ কোথাও রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। এসময় তার আইডি কার্ডও নিয়েযান সাকিব। যুবতি এক পর্যায়ে একটি ছোটো চাকু ক্রয় করে নিজের হাতের রগ কেটে ফেলেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে কয়েকজন পথচারী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসমানী মেডিকেল জলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবাশীষ মেয়েটির সাথে দেখা করেন। যবতিটি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, সিলেট এসে যুবতিটিকে নিয়ে যাবেন।
তবে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে এসআই দেবাশীষ জানান, এখনো মেয়েটির অভিভাবকদের কেউ আসেন নি।