বহুল আলোচিত সিলেটের দীর্ঘতম ধলাই সেতুর ধংসের হাত থেকে বালু লুটপাটের অভিযোগ কয়েক মাস ধরে চলছে তো চলছেই ।মূলত সাদা পাথর লুটপাট ঠেকানোর মূল আন্দোলন এই সেতু কেন্দ্রীক শুরু। সাদা পাথর লুটপাট ঠেকানো গেলেও ধলাই সেতুর নিচসহ সেতু এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছেনা।
একদিকে অভিযান শেষ হতেই অন্যদিকে লুটপাটের মহোৎসব শুরু!
২২ শে সেপ্টেবর (সোমবার) সন্ধ্যা রাতেই ফের শুরু ধলাই সেতুর একেবারে পিলার ঘেষে নৌকা দ্বারা বালু উত্তোলন। স্হানীয় সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টাস্কফোর্স গঠনে উপজেলা প্রশাসন প্রধান মোঃ রবিন মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান শুরু। এতে সেতুর তলদেশ থেকে হাতে নাতে লুটকাজে ব্যবঋত নৌকাসহ ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় টাস্কফোর্স।
ধৃত ব্যক্তিদের ৩ মাস করে জেল হাজতের আদেশ জারি হয়।
তাছাড়া,অভিযানে বিভিন্ন সরন্জাম /যানবাহন বাবৎ শ্রেণী বিন্যাসে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন বাহীনিসহ কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রতন শেখও অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা কোম্পানীগঞ্জ থানা কতৃক তালিকা পাওয়া গেছে। তারা হলেন- উপজেলার নয়াগাঙ্গপারের মানিক মিয়ার ছেলে আলকাস মিয়া (২৬), আলেক রব্বানের ছেলে মোক্তার হোসেন (২৬), ইব্রাহিমের পুত্র আব্দুল খালিক (২৮) আসিক মিয়া সাং ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তা মোঃ রবিন মিয়া, থানার ওসি রতন শেখ প্রতিবেদকের কাছে জানান, ধলাই সেতুর এলাকায় লীজবহির্ভূত স্হানে কোনোমতেই বালু লুটপাট ঠেকাতে সর্বোচ্ছ সতর্কতা হিসেবে অভিযান চলমান থাকবে। আটককৃত আসামীদের কাল জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ধলাই সেতু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্হানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধ টাকার বিনিময়ে সেতুটি হুমকীর সম্মুখীন হওয়ায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে উপজেলা প্রশাসন ঘনঘন অভিযান অব্যাহত থাকলেও কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় বালু লুটপাটের দৌরাত্ম থামানো যাচ্ছেনা।
এলাকাবাসী,উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ সেই অদৃশ্য শক্তির উৎস,কে বা কারা সেটাই এখন দেখার পালা বলে সোশ্যাল মিডিয়াসহ লোকসমাজে গুঞ্জন চলছে।